‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস…’, তন্ময়ের বিরুদ্ধে পথে নেমে চাঁচাছোলা সায়ন্তিকা
মাস কয়েক আগেই উপনির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে তন্ময়ের বিরুদ্ধে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় চুপ নেই বিধায়ক সায়ন্তিকাও। এ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ বরানগরের গোপাল লাল ঠাকুর রোড থেকে শুরু হয় সায়ন্তিকার নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল।
আরজি কর ইস্যুতে তপ্ত রাজ্য। এরই মধ্যে দমদম উত্তরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মহিলা সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতি উথালপাথাল। চুপ করে নেই সমাজের বিভিন্নমহল। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে বিরোধী দলগুলিও।
মাস কয়েক আগেই উপনির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে তন্ময়ের বিরুদ্ধে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনায় চুপ নেই বিধায়ক সায়ন্তিকাও। এ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ বরানগরের গোপাল লাল ঠাকুর রোড থেকে শুরু হয় সায়ন্তিকার নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল। সেখানেও গর্জে ওঠেন সায়ন্তিকা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সকলেই তিলোত্তমার জন্য বিচার চেয়েছিলাম, এখনও চাইছি। যারা রাতদখল করেছিলেন তারা এই ঘটনাতেও মানবন্ধন করবেন তো? রাতদখল করবেন তো? বিচার চাইবেন তো? কারণ সেই চিকিৎসককে কিন্তু তাঁর কর্মস্থলেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল এবং এই মহিলা সাংবাদিককেও কিন্তু তাঁর কর্মক্ষেত্রেই অশ্লীল আচরণ করা হয়েছে। ” এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, “এই অভিযোগ শুনে আমারও খারাপ লাগছিল। মেয়েটি এফআইআর করেছেন, যদিও এটি প্রমাণসাপেক্ষ। তবে যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তবে একজোট হয়ে একটা কথাই বলতে চাই, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। অতীতে মেয়েরা অনেক কিছুই বলতে পারতেন না কিন্তু এখন যে মেয়েরা অনেক সরব হচ্ছেন এটাই একটা ভাল ইঙ্গিত বলে আমার মনে হয়।”
প্রসঙ্গত, রবিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক মহিলা সাংবাদিক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রবীণ এই সিপিএম নেতা তাঁর কোলে বসে পড়েছেন। ফেসবুকে এক লাইভের মাধ্যমে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে সে দিনই থানায় এফআইআর দায়ের করেন সেই সাংবাদিক। সোমবার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় তন্ময়কে। তন্ময় এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ইতিমধ্যেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে সিপিআইএম, চলছে তদন্ত।