বিপাকে হৃত্বিক! তড়িঘড়ি ছুটলেন আদালতে, বলিউডের গ্রিক গডের সঙ্গে কী ঘটল?
কয়েক মাস ধরেই একের পর এক বলিউড সেলেবরা নিজেদের ইমেজ, কণ্ঠস্বর নিয়ে দারুণ সচেতন। তাঁরা লক্ষ্য করেছেন, তাঁদের অজান্তে তাঁদের ছবি, কণ্ঠস্বর নিয়ে নানারকম সংস্থা, নানারকম ব্যবহার করছে। অনেক সময়ই সেলেবদের ইমেজের ভুল ব্যবহার হচ্ছে।

বড়সড় বিপাকে পড়লেন হৃত্বিক রোশন। নিজেকে বাঁচাতে ছুটলেন দিল্লি হাই কোর্টে। সোজা গিয়ে ঠুকলেন মামলা! ব্যাপারটা যে এমন ঘটবে, তা আগে থেকেই আঁচ পেয়েছিলেন হৃত্বিক। বিশেষ করে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন আদালতে যাওয়ার পরই টনক নড়েছিল রাকেশ রোশনের পুত্রর। আর তাই তো দ্রুত আদালতে ছুটলেন হৃত্বিক।
কী ঘটল বলিউডের গ্রিক গডের সঙ্গে?
কয়েক মাস ধরেই একের পর এক বলিউড সেলেবরা নিজেদের ইমেজ, কণ্ঠস্বর নিয়ে দারুণ সচেতন। তাঁরা লক্ষ্য করেছেন, তাঁদের অজান্তে তাঁদের ছবি, কণ্ঠস্বর নিয়ে নানারকম সংস্থা, নানারকম ব্যবহার করছে। অনেক সময়ই সেলেবদের ইমেজের ভুল ব্যবহার হচ্ছে। বেআইনি এই ঘটনাকে আটকাতেই প্রথমে অমিতাভ বচ্চন, তারপর ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন আদালতে পৌঁছে আইনি সাহায্য নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে কুমার শানুও এই পথে হেঁটেছেন। এবার সেই পথেই হাঁটলেন হৃত্বিক রোশন।
আদালতে মামলা করে হৃত্বিক জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি না নিয়ে বহু সংস্থাই তাঁর ছবি, ভিডিয়ো ব্যবহার করে ব্য়বসা করে চলেছে এবং আর্থিক লাভ করছে। এই ধরনের ঘটনা একেবারই অনুচিত। তাই নিজের ছবি, ভিডিয়োকে স্বত্ত্বের আওতায় আনতে চান হৃত্বিক রোশন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গায়ক কুমার শানুও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শানু আইনজীবীরা (শিখা সচদেব ও সানা রইস খান) উল্লেখ করেছেন, শিল্পীর গানের ধরণ, স্বর-তাল-মাধুর্য এবং নিজস্ব গায়কী শৈলী সত্যিই অনন্য। কোনও তৃতীয় পক্ষ যদি অনুমতি ছাড়াই বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এইসব ব্যবহার করে, তা হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারেন এবং প্রকৃত শিল্পীর স্বকীয়তা হারিয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও, শানুর কনসার্ট, ছবি বা ব্যক্তিগত পছন্দকে ঘিরে যেকোনও রকম অ-অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহারকেও যেন বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়, সেই বিষয়ও আবেদনে রাখা হয়েছে। এই মামলার রায় ভবিষ্যতে অন্যান্য শিল্পীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
