TMC: মুর্শিদাবাদে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল, জেলা পরিষদকে ‘চোর’ বলে পদত্যাগ সদস্যের
Murshidabad: তৃণমূল ছেড়ে কি তিনি অন্য দলে যোগ দেবেন? প্রশ্ন শুনেই শাহনাজের বক্তব্য, "বসে তো আমি থাকব না। তবে কী করব, এখনই বলছি না।" হুমায়ুন কবীর দল গঠন করলে কি সেখানে যোগ দেবেন? হুমায়ুন যে তাঁকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করলেন শাহনাজ। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

মুর্শিদাবাদ: গত কয়েকমাসে হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অস্বস্তি ছিলই। মুর্শিদাবাদে ফের তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ল। এবার জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন শাহনাজ বেগম। শুধু ইস্তফা দেওয়া নয়, রীতিমতো দুুর্নীতি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদকে তোপ দাগলেন তিনি। জেলা পরিষদকে ‘চোর’ তকমা দিলেন। সেই ‘চোর’ জেলা পরিষদে থাকবেন না বলেই জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। তবে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে এখনই খোলসা করতে চাইলেন না। শাহনাজের ইস্তফায় অস্বস্তিতে পড়লেও জেলা তৃণমূলের দাবি, জেলা পরিষদে কোনও দুর্নীতি হয় না।
একসময় মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংখ্যালঘু মহিলা মুখ ছিলেন শাহনাজ। জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর (তখন শুভেন্দু তৃণমূলে) নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদ ভাঙার অন্যতম কান্ডারি ছিলেন এই শাহনাজ বেগম। বৃহস্পতিবার তিনি জেলা পরিষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মালদহ ডিভিশনের আধিকারিকের কাছে। জানা গিয়েছে, তাঁর পদত্যাগপত্র রিসিভ করে নিয়েছেন ডিভিশনের আধিকারিক।
অনেকে বলছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করার পর সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ বেড়েছে তৃণমূলের উপর। এবার শাহনাজ জেলা পরিষদের সদস্যপদ ছাড়লেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি জানান, “জেলা পরিষদে দুর্নীতি নিয়ে আমি আগেও সরব হয়েছি। জেলা পরিষদ কীভাবে চলছে সবাই জানেন। এই জেলা পরিষদের চোরের দায়ভার আমি আর বইতে চাইছি না।” তৃণমূল ছেড়ে কি তিনি অন্য দলে যোগ দেবেন? প্রশ্ন শুনেই শাহনাজের বক্তব্য, “বসে তো আমি থাকব না। তবে কী করব, এখনই বলছি না।” হুমায়ুন কবীর দল গঠন করলে কি সেখানে যোগ দেবেন? হুমায়ুন যে তাঁকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করলেন শাহনাজ। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
