অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ, পুলিশের দ্বারস্থ কাঞ্চন, কড়া পদক্ষেপ শ্রীময়ীর
বিষয়টা নিয়ে কাঞ্চন মল্লিকও ভীষণ বিরক্ত। TV9 বাংলাকে তিনি বললেন, "আমি রাজনীতির বাইরে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি, আমাকে অকারণে অশ্লীল কথা বলার কোনও যৌক্তিকতা নেই, আমার পরিবারকেই এভাবে আক্রমণ করার কোনও মানে হয় না। সেই কারণে আমি পুলিশের দারস্থ হই।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল সেলিব্রিটিদের কাছে নতুন বিষয় নয়। আর বরাবরই সেই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। খুব একটা কান দেন না নেটিজেনদের কু-মন্তব্যে। তবে এবার নিশানায় কাঞ্চন মল্লিক। সম্প্রতি কাঞ্চন মল্লিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করায় মেজাজ হারালেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। সব কিছুর একটা সীমা থাকে, বলে রুখে দাঁড়ালেন তাঁরা। তাই এবার উচিত জবাব দিতে মাঠে নামলেন দম্পতি। তাঁদের দাবি, যে ভাষা পিছনে বলেছেন, ক্ষমতা থাকলে তা সামনে এসে বলুক। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে এক লম্বা পোস্ট করেন শ্রীময়ী। লেখেন, “তেমন বড় কিছু না হলে, আমি সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই না। অনেক মজার কমেন্ট আসে, আমরা হাসি, এড়িয়েও যাই। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধ্য হলাম। উনি নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, ওর ভাষা… উনি নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট বলে দাবি করেন… উনি নিজে এত নোংরা, উনি কীভাবে অন্যকে সুন্দর করে তুলবেন আমি জানি না। উনি আমার পেজে গিয়ে কী ধরনের কমেন্ট করেছেন একবার দেখুন।” বলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। উক্ত মহিলার প্রোফাইলের স্ক্রিনশট নিয়ে কলকাতা পুলিশ, লালবাজার সাইবার ক্রাইম শাখাকে ট্যাগ করেন তিনি।
এই বিষয় TV9 বাংলার পক্ষ থেকে শ্রীময়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “একজন মহিলা হয়ে এ কেমন মুখের ভাষা? এরা কারা? কী এদের পরিচয়? কীভাবে সাহস হয়, কাউকে প্রকাশ্যে এই ভাষায় আক্রমণ করার? এই ভাষা আমি মুখেও আনতে পারব না। সাধারণত এই ধরনের বিষয় আমরা এড়িয়ে যাই। তবে বাড়তে বাড়তে কোথায় পৌঁছাচ্ছে?
আমাদের মনে হল এটার উচিত জবাব দেওয়া উচিত। আমরা থানায় যোগাযোগ করেছি। পুলিশ আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করে খোঁজও নিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আমি উকিলের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওর বিরুদ্ধে আমরা মানহানির মামলা করব। আমি চাই উনি থানায় আসুন, যে ভাষায় কথা বলেছে, সেই শব্দগুলো CCTV-র সামনে দাঁড়িয়ে মুখে উচ্চারণ করে বলুন। দেখি কত সাহস।”
বিষয়টা নিয়ে কাঞ্চন মল্লিকও ভীষণ বিরক্ত। TV9 বাংলাকে তিনি বললেন, “আমি রাজনীতির বাইরে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলছি, আমাকে অকারণে অশ্লীল কথা বলার কোনও যৌক্তিকতা নেই, আমার পরিবারকেই এভাবে আক্রমণ করার কোনও মানে হয় না। সেই কারণে আমি পুলিশের দ্বারস্থ হই।”
