৬০ পেরিয়ে অনিলের মতো হ্যান্ডসম থাকতে চান? জেনে নিন অভিনেতার সিক্রেট

‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে তিনি ৮০ ছুঁই ছুঁই পিতা, ‘ফাইটার’ ছবিতে তিনিই আবার ৫০-এর কোটার যোদ্ধা। তিনি অনিল কাপুর। আজও চুলে ধরেনি যেন পাক। যে কোনও প্রজন্মকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত করতে পারেন কেবল যৌবন ধরে রেখেই। কারণ ফিটনেস আর অভিনয় নিয়ে কথা বলার কোনও জায়গাই তিনি রাখেননি। অনিল কাপুর বরাবরই নিজের জীবন দর্শনে স্থির থেকেছেন। ছবির ক্ষেত্রে তিনি যতটা যত্নশীল, কেরিয়ার নিয়ে তিনি যতটা সচেতন ঠিক ততটাই যত্নশীল তিনি নিজেকে নিয়ে। ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা, খামখেয়ালির কোনও জায়গাই রাখেননি তিনি।

যার ফলে তিনি এক প্রকার চির তরুণ। তাঁর ফিটনেস নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ”আমার শরীর চর্চার রুটিন দিন দিন পাল্টাতে থাকে। আমি ঘুম থেকে উঠি ঠিক ভোর ৬টায়। ১০ মিনিট কার্ডিও করে তবেই দিন শুরু হয়। সপ্তাহে তিন দিন আমি জিমে যাই।” তবে বাকি দিন শরীর চর্চা থেকে ছুটি এমনটা নয়। কারণ তিনি আরও বলেন, ”সপ্তাহে বাকি তিন দিন আমি খোলা হাওয়ায় বা উন্মুক্ত জায়গায় শরীর চর্চা করতে পছন্দ করি। আমি পাতলা ছিমছাম শরীর ধরে রাখতে পছন্দ করি, কারণ এই ধরনের চেহারায় সব প্রকারের চরিত্রে অভিনয় করা যায়। ”

মেদ তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। কারণ তাঁর কথায়, ”শরীরে মেদ জমলে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রকারের চরিত্রই করা যায়।” জিমে কিংবা মেশিনে শরীর চর্চার পাশাপাশি রোজ নির্দিষ্ট সময় সাইকেল চালাতেও দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি যোগা কিংবা ধ্যানও করে থাকেন অভিনেতা। ছবির চরিত্রের লুকের জন্য নিজেকে খুব একটা চাপে রাখেন না অনিল কাপুর। কারণ তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেন, সেই চেহারা নিতে তাঁর খুব একটা সময় লাগে না। তবে ডায়েট হেয়ারকাট, লুকে সামান্য অদল বদল ঘটাতে হয় মাঝে মধ্যে।

খাবারের তালিকাতেও একগুচ্ছ নিয়ম। অনিল কাপুরের সাধারণত এড়িয়ে চলেন ধূমপান ও মদ্যপান। চিনি কিংবা ভাজা খাবারেও সাফ না তাঁর। পাশাপাশি দুগ্ধ জাতীয় খাবারও তিনি স্পর্শ করেন না। তিনি দিন শুরু করেন এক বোতল জল পান করে, এরপর ভারী জলখাবার, প্রোটিন রিচ স্যান্ডুইচ, স্মুদি, ওটস। দুপুরে সাধারণত সিদ্ধ ব্রকলি খেয়ে থাকেন তিনি। রাতে স্যালাড খান, স্বাদ বদলের জন্য বিভিন্ন সস ব্যবহার করে থাকেন অভিনেতা। মাঝে মধ্যে তিনি সিদ্ধ সব্জি ও ব্রাউন রাইস খেয়ে থাকেন।