ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর প্রথমবার মুখ খুললেন সানি, কী বললেন দেওল ফ্য়ামিলির বড় ছেলে?
তবে এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর যখন প্রয়াত হন ধর্মেন্দ্র, তখন একেবারে চুপ। গোপনেই অভিনেতার শেষকৃত্য পালন করলেন সানি। অনেকেই আশা করেছিলেন বাবাকে নিয়ে সানি হয়তো লম্বা পোস্ট করবেন সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু সানি একেবারেই চুপ থাকলেন। তবে ৮ ডিসেম্বর, ধর্মেন্দ্রর ৯০ তম জন্মদিনে শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন সানি। সোশাল মিডিয়ায় বাবাকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেতা।

ধর্মেন্দ্র যখন হাসপাতালে ছিলেন, তখন হঠাৎ করেই রটে গিয়েছিল তাঁর মৃত্যুর খবর। এমনকী, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও ধর্মেন্দ্র মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়ে যায়। গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন সানি দেওল। পাপারাজ্জিদের উপর চিৎকার, গালিগালাজও করেছিলেন। তবে এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর যখন প্রয়াত হন ধর্মেন্দ্র, তখন একেবারে চুপ। গোপনেই অভিনেতার শেষকৃত্য পালন করলেন সানি। অনেকেই আশা করেছিলেন বাবাকে নিয়ে সানি হয়তো লম্বা পোস্ট করবেন সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু সানি একেবারেই চুপ থাকলেন। তবে ৮ ডিসেম্বর, ধর্মেন্দ্রর ৯০ তম জন্মদিনে শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন সানি। সোশাল মিডিয়ায় বাবাকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেতা।
কী লিখলেন সানি?
সোশাল মিডিয়ায় সানি দেওল একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের কোলে বসে রয়েছেন তিনি। সেই ভিডিয়োতে সানি বলছেন, বাবা এনজয় করছো তো? ধর্মেন্দ্রর , হ্য়াঁ, এনজয় করছি। এই ভিডিয়োর ক্যাপশনেই সানি লিখলেন, আজকে আমার বাবার জন্মদিন। বাবা সব সময় আমার সঙ্গে রয়েছে, আমার ভিতরেই রয়েছ তুমি। তোমাকে মিস করছি।
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু যেন রহস্য ঘেরা। কেন তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন না তাঁর অনুরাগীরা তা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ছে দেওল পরিবার। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি ও ববি একেবারে চুপ। বলিউডের হিম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী অবশ্য মুখ খুলেছেন। সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে তাঁর আবেগের কথা। হেমা লিখেছেন, একসঙ্গে না থাকলেও, কীভাবে ধর্মেন্দ্র তাঁর ভাল-খারাপ সময়ের সঙ্গী হয়েছিলেন। তবে এবার দেওল পরিবারের কেউ নন, বরং প্রিয় নায়ককে নিয়ে এক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান। আমির জানালেন, মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন আগে সানি দেওলের কোন ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
View this post on Instagram
সানি দেওল হলেন ধর্মেন্দ্রর বড় ছেলে। ছোট হলেন ববি। প্রথম থেকেই ধরমজি চেয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলেই তাঁর মতো অভিনয়ে পা রাখুন। সানি দেওলের প্রথম ছবি বেতাব। যা আশির দশকে হইচই ফেলে দিয়েছিল। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে প্রথম দিকে সানি জনপ্রিয় হলেও, পরে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের পর্দার অ্যাকশন হিরো। ছোট ছেলে ববি দেওলের প্রথম ছবি বরসাত। সেটিও রোমান্টিক। শোনা যায়, দুই ছেলের প্রায় প্রত্যেকটি ছবিই দেখেছেন ধর্মেন্দ্র। ছবি দেখার মতো ছেলেদের সঙ্গে নিজের ভাবনাও শেয়ার করতেন। তবে শেষ দেখা ছবি নিয়ে সানিকে নিজের মতামত জানানোর সময় পেলেন না ধরমজি।
