Babri Masjid: ৯২ থেকে স্মৃতি আঁকড়ে ছিলেন আলাউদ্দিন, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ জুড়ে যাবে হুমায়ুনের মসজিদে
Babri Masjid: সোমবারই বাবরি মসজিদের নামাঙ্কিত প্লেট তৈরি সর্বসম্মক্ষে নিয়ে আসেন হুমায়ুন কবীর। সেই নেমপ্লেটে লেখা হয়েছে "বাবরি মসজিদ", স্থাপিত ২০২৫, উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবীর। শুরু হয়েছে অনুদানে পাওয়া টাকা গণনার কাজও।

মুর্শিদাবাদ: বাবরি মসজিদ তৈরি করছেন হুমায়ুন কবীর। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে আগেই। সোমবার সকালেই নেম প্লেট সামনে এনেছেন ভরতপুরের বিধায়ক। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংখ্যালঘুরা যাচ্ছেন রেজিনগরের সেই মসজিদ তৈরির প্রস্তুতি দেখতে। অনেকেই মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন ইট। এবার অযোধ্যার বাবরি মসজিদের ইট যাচ্ছে হুমায়ুনের মসজিদে। সেই ১৯৯২ থেকে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল সেই ইট। সেটাই পাঠানো হচ্ছে রেজিনগরে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের একটি মসজিদে ইট সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। এক অবসরপ্রাপ্ত সিআরপিএফ জওয়ান আলাউদ্দিন খান ওই ইট নিয়ে এসেছিলেন বাবরি মসজিদ থেকে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেদিন বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা ঘটে, সেদিন ওই জায়গায় ডিউটিরত ছিলেন আলাউদ্দিন খান। বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি ইট স্মৃতি হিসেবে ব্যাগে করে বাড়িতে এনেছিলেন আলাউদ্দিন।
সেই ইট ডোমকলের একটি মসজিদে রাখা হয়েছিল। বহু বছর ধরে সংরক্ষিত করা সেই ইট এখন দান করতে চান আলাউদ্দিন। হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগে যে নতুন বাবরি মসজিদ তৈরি হচ্ছে, সেখানেই এই ইট দান করতে চান। আলাউদ্দিন বলেন, “সিআরপিএফে ছিলাম। ৬ ডিসেম্বর আমি যখন ওখানে যাই, তখন বাবরি মসজিদ শেষ। আমি তখন একটা ইট নিয়ে এসেছিলাম।”
এদিকে, সোমবারই বাবরি মসজিদের নামাঙ্কিত প্লেট তৈরি সর্বসম্মক্ষে নিয়ে আসেন হুমায়ুন কবীর। সেই নেমপ্লেটে লেখা হয়েছে “বাবরি মসজিদ”, স্থাপিত ২০২৫, উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবীর।
হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে চলছে বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য অনুদানে পাওয়া টাকার গণনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন হুমায়ুন কবীর। সেইদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে বাবরি মসজিদ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। তবে টাকা নিয়ে চিন্তা করছেন না হুমায়ুন, কারণ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিই নাকি ৮০ কোটি টাকা অনুদান দেবেন বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য।
