AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee on Geetapath: ‘বাবা-মা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি’, গীতাপাঠে কেন গেলেন না? স্পষ্ট উত্তর দিলেন মমতা

Mamata Banerjee: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে গিয়ে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, "একুশের ভোটে তো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সিংহভাগ হিন্দু ভোট দেয়নি।" আর এবার সেই গীতাপাঠ নিয়েই মুখ খুললেনন মমতা।

Mamata Banerjee on Geetapath: 'বাবা-মা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি', গীতাপাঠে কেন গেলেন না? স্পষ্ট উত্তর দিলেন মমতা
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2025 | 1:18 PM
Share

কলকাতা: পাঁচ লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। রবিবারের সেই অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। উপস্থিত ছিলেন দেশের বহু সাধু-সন্ত থেকে রাজ্যের বিজেপি নেতারা।  সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি কেন গেলেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কোচবিহারে রওনা হওয়ার আগে সেই উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি বিজেপির যোগ থাকায় তিনি যাননি। যদি এটা কোনও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান হত, তাহলে তিনি নিশ্চয় যেতেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি কী করে যাব বিজেপির প্রোগ্রামে। এটা যদি নিরপেক্ষ কোনও অনুষ্ঠান হত, তাহলে আমি নিশ্চয় যেতাম। বিজেপির অনুষ্ঠানে যাই কীভাবে! আমার তো একটা আদর্শ আছে।” বিজেপিকে ‘বাংলা-বিরোধী’ বলে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “যারা নেতাজিকে ঘৃণা করে, যারা গান্ধীজিকে মানে না। আমি তাদের সঙ্গে নেই। আমার বাবা-মা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমার বাংলা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি।” এদিন তিনি আবারও বলেছেন, “আমি সব ধর্মকে সম্মান করি।”

গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে গিয়ে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “একুশের ভোটে তো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সিংহভাগ হিন্দু ভোট দেয়নি। হিন্দুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে না।” হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

এছাড়া রবিবার ব্রিগেডের গীতা পাঠের মঞ্চ থেকে হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে সওয়াল করেন বাগেশ্বর ধামের প্রধান পুরোহিত ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী। তিনি বাংলাকে একজোট করার বার্তা দিয়েছেন। আবার ইঙ্গিতে তোপ দেগেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেও।