Credit Score: আপনি কত সুদে Loan পাবেন, সেই চাবিকাঠি কিন্তু আপনারই হাতে!
Personal Loan Interest or Credit Card Interest: আজ ভারতে ৪টে এমন সংস্থা রয়েছে যারা ক্রেডিট স্কোর হিসাব করে। এদের বলা হয় ক্রেডিট ব্যুরো বা ক্রেডিট ইনফর্মেশন কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে CIBIL, CRIF High Mark, Equifax ও Experian-এর মতো সংস্থা।

আপনার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি কেমন খরচ করেন, কীভাবে খরচ করেন আর কত খরচ করেন সেই সবের উপর নির্ভর করে আপনার ঋণের খরচ। বুঝলেন না তো? আপনি কোনও ঋণ নিলে সেই ঋণের সুদের হার, ঋণের প্রসেসিং ফি ইত্যাদি অনেক কিছুই নির্ভর করে আপনার ক্রেডিট স্কোরের উপর। আর আপনার ক্রেডিট স্কোর নির্ভর করে আপনার আগে থেকে ব্যবহার করা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের উপর।
আসলে আজকের দিনে সব ক্রেডিট লেন্ডিং সংস্থাগুলো ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ডেটার উপর। আর সেই কারণেই আপনার ক্রেডিট স্কোর যদি ৭৫০-এর বেশি হয় তাহলে তা আপনাকে অনেকটা কম সুদে ঋণ পেতে সাহায্য করে।
আজ ভারতে ৪টে এমন সংস্থা রয়েছে যারা ক্রেডিট স্কোর হিসাব করে। এদের বলা হয় ক্রেডিট ব্যুরো বা ক্রেডিট ইনফর্মেশন কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে CIBIL, CRIF High Mark, Equifax ও Experian-এর মতো সংস্থা। ক্রেডিট স্কোরের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর হয় ৩০০ থেকে ৯০০-এর মধ্যে। আর কোনও ব্যাক্তির ক্রেডিট স্কোর যদি ৬৫০-এর চেয়ে কম হয় তাহলে তা বেশ সিরিয়াস একটা বিষয়। এবং এটাকে রেড ফ্ল্যাগ মানা হয়। কারণ এত কম ক্রেডিট স্কোর নিয়ে ঋণ পেতে খুবই সমস্যা তৈরি হয়।
ক্রেডিট স্কোরের সঙ্গে সুদের হারের কী সম্পর্ক?
ক্রেডিট কার্ড বার্ষিক ৩০ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত হারে সুদ নিয়ে থাকে। আবার পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে তা সাধারণত ৯ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। এই হার নির্ভর করে ব্যাঙ্কের নিয়ম, গ্রাহকের অর্থনৈতিক প্রোফাইলের ঝুঁকি ও পুরনো ঋণ শোধের ইতিহাস বা ক্রেডিট হিস্ট্রির উপর। সোজা কথায় ক্রেডিট স্কোর হল, কোনও ঋণ গ্রহীতা কত সহজে নিজের ঋণ সামলাতে পারছে, তার একটা মাপকাঠি।
- ৭৫০+ ক্রেডিট স্কোর: কারও ক্রেডিট স্কোর যদি ৭৫০ বা তার বেশি হয় তবে সেই ব্যক্তি অনেক কম সুদের হারে ঋণ পেতে পারে।
- ৬৫০ থেকে ৭৪৯ ক্রেডিট স্কোর: এই লিমিটের মধ্যের ক্রেদিট স্কোরকে মাঝারি হিসাবে ধরা হয়। এই ক্ষেত্রে গ্রাহক কিছু সময় ঋণ পরিশোধে গোলমাল করেছে বলে মনে করে ক্রেডিট ব্যুরোগুলো। এই ক্ষেত্রে ঋণের সুদের হার খানিকটা বেড়ে যায়।
- ৬৫০-এর নীচে স্কোর: কোনও ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর ৬৫০-এর নীচে হলে মনে করা হয় এই ক্ষেত্রে ঋণ খেলাপির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্বল ক্রেডিট স্কোরে কোনও সুবিধা পাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়।
আপনার ঋণের খরচ কীভাবে প্রভাবিত হয়?
আপনার ক্রেডিট স্কোর ভাল হলে ঋণদাতারা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এর ফলে আপনার ঋণের সুদের হার যেমন কমে যায়, তেমনই আপনি বিভিন্ন প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড সহজে পেতে পারেন। আর এই ধরনের কার্ডের আপনি পেতে পারেন আকর্ষনীয় গিফট, ট্র্যাভেল বেনিফিট বা বিভিন্ন ধরনের বিমার সুবিধা।
নিজের ক্রেডিট স্কোর ঠিক রাখতে কী করবেন?
নিজের ক্রেডিট স্কোর ঠিক রাখতে আপনাকে বেশ কয়েকটা জিনিস মেনে চলতে হবে। আর যদি মেনে চলেন, তাহলেই কেল্লাফতে।
- সময়মতো বিল জমা: ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ বিল সময়সীমার মধ্যে শোধ করুন।
- ইউটিলাইজেশন কম রাখুন: আপনার ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও সব সময় ৩০-এর নীচে রাখুন। অর্থাৎ, আপনার সব ক্রেডিট কার্ডের লিমিট মিলিয়ে যদি ১ লক্ষ টাকা হয় তাহলে আপনি ৩০ হাজারের বেশি একবারে খরচ করতে পারবেন না।
- হার্ড এনক্যোয়ারি এড়িয়ে চলুন: অপ্রয়োজনীয় একাধিক লোন বা কার্ডের জন্য আবেদন করলে আপনার প্রোফাইলে বারবার হার্ড এনক্যোয়ারি হয়। এই হার্ড এনক্যোয়ারি এড়িয়ে চলুন।
ক্রেডিট কার্ডে জন্য আবেদন করার আগে এর সমস্ত ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার জানা জরুরি। বেশি সুদের ঋণ, অতিরিক্ত খরচের প্রবণতা, এবং স্কোর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা—এই সবগুলিই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে কঠিন করে তুলতে পারে। তাই ক্রেডিট কার্ডে কখনই আপনার রেঞ্জের বাইরে গিয়ে খরচ করা উচিত নয়।
কোথাও থেকে কোনও ঋণ নিতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা ঋণ নেওয়া নিয়ে কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও ঋণের ক্ষেত্রেই একটা ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে ঋণ নেওয়ার আগে সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
