রানির বিয়ের ছবি কবে সামনে আসবে? নাকি আসবেই না?
রানি মুখোপাধ্যায় সবসময়ই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব সংবেদনশীল ছিলেন। পরিচালক ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে বিবাহিত এই অভিনেত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন কেন তাঁদের বিয়ের ছবি হয়তো কখনও প্রকাশিত হবে না। বিয়েটি গোপনে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রানি বলেন, “আমার স্বামী খুব ব্যক্তিগত মানুষ, এবং তিনি চেয়েছিলেন আমাদের বিয়েটা খুব প্রাইভেট হোক। আমি মনে করি না, উনি কখনও চাইবেন আমাদের বিয়ের ছবি বাইরে আসুক।”

রানি মুখোপাধ্যায় সবসময়ই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব সংবেদনশীল ছিলেন। পরিচালক ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে বিবাহিত এই অভিনেত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন কেন তাঁদের বিয়ের ছবি হয়তো কখনও প্রকাশিত হবে না। বিয়েটি গোপনে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রানি বলেন, “আমার স্বামী খুব ব্যক্তিগত মানুষ, এবং তিনি চেয়েছিলেন আমাদের বিয়েটা খুব প্রাইভেট হোক। আমি মনে করি না, উনি কখনও চাইবেন আমাদের বিয়ের ছবি বাইরে আসুক।”
রানি আরও বলেন, কেন তিনি সবসময় নিজের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা বজায় রেখেছেন। তিনি বলেন, একজন মানুষের উচিত তার চারপাশের পরিবেশকে “রক্ষা করা।” “ আমার কাজ আর ব্যক্তিগত জীবন আলাদা। যদি আমাকে বছরের পর বছর দেখেন, আমি তখনই সামনে এসেছি যখন কোনও কারণ ছিল। সবসময় নয়। কারণ আমি মনে করি কিছু জিনিস নিজের জন্য রেখে দেওয়া উচিত। আপনার পরিবেশকে কিছুটা রক্ষা করতে হয়। সব কিছু সবার দেখার জন্য নয়। আমরা এমনিতেই অনেকটাই উন্মুক্ত, সেটাই যথেষ্ট। কিছু জিনিস ব্যক্তিগত রাখা দরকার – আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, বা পরিবারের সঙ্গে কী করছেন, সেগুলো সবার জানার বিষয় নয়”, বক্তব্য রানির।
তিনি আরও বলেন, “আমি এসবকে নিয়ম হিসেবে দেখি না, বরং জীবনের একটি ধরন হিসেবে দেখি। নিয়ম মানে অনেক সময় মনে হয় যেন কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তা ঠিক নয়। কারণ আদি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ এবং তিনি মহিলাদের খুব সম্মান করেন। এটা যশ আঙ্কেল আর প্যাম আন্টির কাছ থেকেই এসেছে।” তিনি উল্লেখ করেন, যশ চোপড়ার জীবনে পামেলা চোপড়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা আদিত্যর বড় হয়ে ওঠার সময় তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
রানি যোগ করেন, “যখন আপনি যশ আঙ্কেলের সিনেমা দেখেন, সেখানে নারী চরিত্রদের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর প্যাম আন্টি যশ আঙ্কেলের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন। আদি যেভাবে আমাকে তাঁর জীবনে সম্মান করে, সেটা সত্যিই অনন্য। ও কখনও বলে না কী করা উচিত বা উচিত নয় – সেটা আমার নিজের পছন্দ। বরং ও বলে, ‘বাইরে আরও যাও, আরও মেলামেশা কর।’”
