সইফকে ছুরির আঘাত, সেদিন হাসপাতালে ঠিক কী হয়েছিল, মুখ খুললেন নায়ক
অভিনেতা সইফ আলি খান চলতি বছরের শুরুতে মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি স্মরণ করেছেন, কীভাবে হাসপাতালে তাঁকে হুইলচেয়ারে বসতে বলা হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’ নামক অনুষ্ঠানের সাম্প্রতিক পর্বে সইফ আরও জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন। এই অনুষ্ঠানে সইফ ছিলেন কাজল ও টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে, যেখানে আরও ছিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার।

অভিনেতা সইফ আলি খান চলতি বছরের শুরুতে মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি স্মরণ করেছেন, কীভাবে হাসপাতালে তাঁকে হুইলচেয়ারে বসতে বলা হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’ নামক অনুষ্ঠানের সাম্প্রতিক পর্বে সইফ আরও জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেন। এই অনুষ্ঠানে সইফ ছিলেন কাজল ও টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে, যেখানে আরও ছিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
সইফ বলেন, তিনি হাসপাতালে পৌঁছে হুইলচেয়ারের পরিবর্তে একটি স্ট্রেচার চেয়েছিলেন। অভিনেতা বলেন, “আমরা হাসপাতালে হেঁটে ঢুকেছিলাম, আর ইমারজেন্সি বিভাগের লোকজন ছিল ঘুমন্ত। আমি একজনকে বললাম, ‘একটা স্ট্রেচার পাব?’ সে বলল, ‘হুইলচেয়ার?’ আমি বললাম, ‘না, আমার মনে হয় স্ট্রেচার দরকার।’ সে বলল, না। শেষে আমি বললাম, ‘এই শুনুন,’ কারণ সে জেগে উঠছিল না, ‘আমি সইফ আলি খান। এটা মেডিকেল এমারজেন্সি।’ তখনই সে চমকে উঠল। তারপর চারদিকে হইচই পড়ে গেল।”
এই সময় অক্ষয় কুমার বলেন, “আপনার সাহসকে স্যালুট। এটা সত্যিই খুব সাহসিকতার কাজ। এভাবে সবাই করতে পারে না। আপনি একজন আসল নায়ক, অন্তত আপনার ছেলের ও পরিবারের জন্য তো বটেই।” এরপর কাজল বলেন, তিনি অবাক হয়েছিলেন যখন সইফকে হাসপাতাল থেকে হেঁটে বের হতে দেখেছিলেন একটি ভিডিওতে। অপারেশন হয়ে গেলে, এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পরের প্রসঙ্গে সইফ বলেন, “যখন সব শেষ হলো, তখন কিছু লোকজন ছিল, আর অনেকে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছিল কীভাবে বের হতে হবে। মিডিয়াও কৌতূহলী ছিল। কেউ আমার কথা শুনছিল না। আমি বললাম, ‘যদি মিডিয়া কৌতূহলী হয়, তা হলে বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত। আমি হেঁটেই হাসপাতাল থেকে বের হব, কারণ আমি হাঁটতে পারি।’”
সইফ ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি মনে করেছিলেন হুইলচেয়ার বা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে হাসপাতাল থেকে হেঁটে বের হওয়াই ভাল হবে। তিনি বলেন, “ঘটনাটা খুব খারাপ ছিল (গলা দেখিয়ে ইঙ্গিত করেন, যেখানে ছুরি মারা হয়েছিল)। কিন্তু ঠিক আছে, সেলাই করা হয়েছে, আমি এক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলাম। পিঠ ঠিক ছিল, হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু আমি হাঁটতে পারছিলাম। হুইলচেয়ার দরকার ছিল না। তারপর কেউ বলল, ‘তোমার অ্যাম্বুলেন্সে করে যাওয়া উচিত’, কেউ বলল, ‘তোমার হুইলচেয়ারে করে যাওয়া উচিত’। আমার মন বলল, কেন কোনও ধরনের আতঙ্ক বা দুশ্চিন্তা তৈরি করব, পরিবারের জন্য হোক, ভক্তদের জন্য হোক, শুভানুধ্যায়ীদের জন্য হোক? বরং হেঁটেই বের হই, যেন একটা বার্তা যায়—আমি ঠিক আছি। কিন্তু তারপর এত প্রতিক্রিয়া এল—‘এটা মিথ্যে, ওটা সত্যি’— এসব শুনতে হলো।”
