‘তাঁদের জন্যই অনশন উঠল’, তিলোত্তমার বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে কী লিখলেন রূপাঞ্জনা?
Rupanja Mitra: দশ দফা দাবি নিয়ে লাগাতার অনশন, আন্দোলন, বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিত্সকেরা। সোমবার বিকেল পাঁচটায় টানা দু'ঘণ্টা ধরে নবান্নে আন্দোলনরত চিকিত্সকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধেই অনশন তোলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে কী লিখলেন রূপাঞ্জনা?
দশ দফা দাবি নিয়ে লাগাতার অনশন, আন্দোলন, বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিত্সকেরা। সোমবার বিকেল পাঁচটায় টানা দু’ঘণ্টা ধরে নবান্নে আন্দোলনরত চিকিত্সকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন, নবান্ন থেকে ফিরে এসে প্রায় এক ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চলা বৈঠকে খুব একটা যে তাঁরা খুশি হননি সে কথা পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্টের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার।
বলেন, “এই বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পজিটিভ লাগেনি। কারণ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের প্রিন্সিপালদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। প্রশাসনের শরীরী ভাষা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।” সঙ্গে এও জানিয়েছেন তবে এই অনশন তাঁরা প্রত্যাহার করছেন শুধু মাত্র তিলোত্তমার মা-বাবার অনুরোধে। এর পরেই তিলোত্তমার মা-বাবাকে আরও একবার কুর্ণিশ জানিয়েছেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা। আবেগপ্রবণ হয়ে মঙ্গলবার আরও একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন, “তিলোত্তমা‘র বাবা এবং মা কে আমার প্রণাম তাঁদের জন্যই অনশন উঠল, তাদের মনের ওপর এই চাপ সত্যি খুবই বেদনাদায়ক। ঠাকুর তাদের আরো অনেক শক্তি দিক। যেমন ভাবে মেয়ের সহযোদ্ধাদের সাথে পেয়ে এসেছে তারা যেন সেভাবেই জীবনের চলার পথে প্রত্যেকটা দিন সাথে থাকে |এবার তিলোত্তমার ওপর নারকীয় যন্ত্রণার বিচারের অপেক্ষায় আমরা” তবে এই একই দিনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো বিজয়ার উপহার নিয়ে ফেসবুকের পাতায় মাননীয়ার উদ্দেশ্যে একটি লম্বা পোস্ট করেন। যে কারণে অনেকের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে সেই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তিনি।