Left in Election: সত্যিই কী CPIM-র সঙ্গে জোটে লিবারেশন? ছাব্বিশেই ‘বৃহত্তর বামফ্রন্ট’? কী বলছেন AISA-র সর্বভারতীয় সভাপতি

Left in Election: সোমবার রাজ্যের উপভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামেরা। তাতেই দেখা যাচ্ছে নৈহাটি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিপিআইএমএল লিবারেশনের দেবজ্যোতি মজুমদার লড়াই করবেন।

Left in Election: সত্যিই কী CPIM-র সঙ্গে জোটে লিবারেশন? ছাব্বিশেই ‘বৃহত্তর বামফ্রন্ট’? কী বলছেন AISA-র সর্বভারতীয় সভাপতি
কী বলছেন নীলাশিস? Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Oct 22, 2024 | 8:53 PM

কলকাতা: হাত ছেড়েছে সিপিএম। উল্টে কাছাকাছি এসেছে লিবারেশন। উপনির্বাচনে তো একেবারে ‘জোট’ নিয়ে জোর জল্পনা। এককালের বাম দুর্গ বলে পরিচিত নৈহাটি লিবারেশনের হাতে ছেড়ে দিয়েছে বিমানরা। সমর্থন লিবারেশনের প্রার্থীকে। তা নিয়েই বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে কী ছাব্বিশের ভোটের আগেই বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে বৃহত্তর ‘বাম ঐক্য’? তৈরি হবে ‘বৃহত্তর বামফ্রন্ট’? সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও খানিক এই রাস্তায় হেঁটেই ‘লাল টুকুটুকে’ দিনের স্বপ্ন দেখছেন সিপিআইএমএল-এর ছাত্র সংগঠন আইসার সর্বভারতীয় সভাপতি নীলাশিস বসু। 

কীভাবে সম্ভব হল এমনটা? 

নীলাশিস বলছেন, “পরিস্থিতির দাবি মেনেই এটা সম্ভব হয়েছে। এর আগে আগে বহুবারই ভোটে লিবারেশনের পক্ষ থেকে সিপিএম-সহ অন্যান্য বাম দলগুলিকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। বিধানসভা ভোট থেকে উপনির্বাচন, প্রতিক্ষেত্রেই এই ছবি দেখা গিয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যের উপভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামেরা। তাতেই দেখা যাচ্ছে নৈহাটি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সিপিআইএমএল লিবারেশনের দেবজ্যোতি মজুমদার লড়াই করবেন। এদিকে অতীত বলছে, ১৯৭৭ সালে কমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কমিউনিস্টদের দখলে ছিল। রাজ্যের প্রাক্তন দাপুটে মন্ত্রী রঞ্জিত কুন্ডু নৈহাটি থেকে পরপর তিনবার বিধায়ক হিসাবে জিতে এসেছেন। এবার সেই আসন যাচ্ছে লিবারেশনের হাতে। নীলাশিস বলছেন, এটাই পথ। পশ্চিমবঙ্গে যে বামপন্থী পরিসর ছিল সেটা সঙ্কুচিত হওয়ার ফলে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে বামপন্থীদের পুর্নজাগরণ। আর পুর্নজাগরণের পথটাই হচ্ছে বাম ঐক্যের পথ। এখন বাংলায় বামপন্থী পরিসর, চেতনা যথেষ্টভাবে আছে। কীভাবে তার ছাপ ভোটের ময়দানেও রাখা যায় সেটা ভাবতে হবে। সেই জায়গা থেকেই সকলেই ঐক্যের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। সে কারণেই লিবারেশনের সঙ্গে একসঙ্গে পথ চলার কথা ভাবছে সিপিএম সহ অন্যান্য বাম দলগুলি।

সত্যিই কি ‘জোট’ বা ‘সমঝোতা’? 

তবে তিনি এটাকে ‘জোট’ বা ‘সমঝোতা’ বলতে খুব একটা রাজি নন। সিপিএমআইএমএল এর প্রার্থী নৈহাটিতে লড়ছেন। তাঁকে সমর্থন করছে সিপিএম। ব্যাপারটা আপাত দৃষ্টিতে এভাবেই দেখা উচিত বলে মনে করছেন তিনি। কিন্তু, ইতিহাসে তো নকশালদের সঙ্গে মূলস্রোতের বামেদের কত শত রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের ছবি দেখা গিয়েছে। সে জায়গা থেকে এই বোঝাপড়া অনেক বাম মনস্কের অস্বস্তির কারণ হবে না তো? নীলাশিস যদিও এমনটা মনে করছেন না। তিনি বলছেন, “আমাদের এই বোঝাপড়া কাউকেই হতাশ করবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিপুল বামপন্থী মানুষদের অনেকেই কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। অনেকেই চাইতেন বামপন্থী সংগঠনগুলি এক ছাতার তলায় আসুক। শুধু নির্বচনী ময়দানে নয়, সামগ্রিকভাবে। তাই সেটা হলে কেউ হতাশ হবেন না।”