Tarun Majumdar Health Update: নিউমোনিয়া ধরা পড়ল তরুণ মজুমদারের, বের করা হল ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে

Tarun Majumdar Health Update: হার্ট আর কিডনি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তরুণ মজুমদার। হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমেছে তাঁর। তার

Tarun Majumdar Health Update: নিউমোনিয়া ধরা পড়ল তরুণ মজুমদারের, বের করা হল ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে
তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়, টলিপাড়ার এমন এক জুটি যাঁরা রিল-রিয়েল উভয়েই বাঁচতেন ছবিকে আঁখড়ে ধরে। 'পলাতক' ছবি দিয়ে সফর শুরু, তারপর একে একে তরুণ মজুমদারের প্রায় সব ছবিতেই সন্ধ্যা বিরাজ (শেষের কয়েকটি ছবিকে বাদ রাখলে)।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 9:04 PM

ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে তরুণ মজুমদারকে (Tarun Majumdar) বের করা হয়েছে। তবে তিনি ইনটিউবেটেড রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ খবর অনুযায়ী,   ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হলেও যন্ত্র নির্ভরতা কমানো হয়নি। তাঁকে টিউব পরিয়ে রাখতে হচ্ছে। ফুসফুসের দু’দিকেই জল জমেছে। তার মধ্যে আবার নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে তাঁর। এককথায় অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন প্রবীণ চিত্র পরিচালক। আজ সকালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ৪ ঘণ্টা ধরে তাঁর ডায়ালিসিস হয়েছে। ফলে ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা কিছুটা কমলেও তা স্বাভাবিকের থেকে একনও অনেকটাই বেশি। অনেক দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন তরুণ মজুমদার। চিকিৎসকরা তাঁর শারিরীক অবস্থা নিয়ে এখনও চিন্তিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি নিয়মিত খবর রাখছেন প্রবীণ পরিচালকের।

হার্ট আর কিডনি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তরুণ মজুমদার। হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমেছে তাঁর। তার উপর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাঁর ডায়ালিসিস করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। প্রথমদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মাত্র ২ ঘণ্টা ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয়। এরপর শুক্রবার ৪ ঘণ্টার ডায়ালিসিসি-এর পর কিছুটা ক্রিয়েটিনিনি কমলেও অবস্থা সংকটজনকই ছিল। শুক্রবার ভেন্টিলেশন সাপোর্ট এড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শনিবার তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতেই হয়েছে। তবে বিকেলে সরানো হলেও, পুরোপুরি যন্ত্রের সাপোর্ট সরানো হয়নি। তার উপর এবার নিউমোনিয়া ধরা পড়ায় চিন্তায় চিকিৎসকরা। তাঁর জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে ইন্ডিস্ট্রির সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।

বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর। কিছু দিন আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকির জন্য ঘুরে এসেছিলেন পুরুলিয়া। হাজির হয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখতেও। তাঁর সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার অপেক্ষায় আট থেকে আশি।