শরীরে কুষ্ঠ নিয়েই রাজ কাপুরের কাছে গেলেন ডিম্পল! তারপর যা ঘটল তা নিয়ে আজও কথা হয় কাপুর পরিবারে
তখন তাঁর বয়স আঠারো পার করেনি। হিরোইনও হয়ে ওঠেননি ডিম্পল। তার উপর যেই বাবা চুন্নিভাই কাপাডিয়ার এক বন্ধু ডিম্পলকে ডেকে বলল, এবার তো তোমায় স্কুল থেকেই বের করে দেবে! একথা শুনে কেঁপে উঠেছিলেন ডিম্পল।

হাতের কনুইয়ে হঠাৎই ধরা পড়ে কুষ্ঠ! প্রথমটায় ভয়ে পেয়েছিলেন। ডাক্তার যখন বললেন, এই রোগ কিন্তু মারাত্মক, তখন দুশ্চিন্তা বেরেছিল ডিম্পল কাপাডিয়ায়। তখন তাঁর বয়স আঠারো পার করেনি। হিরোইনও হয়ে ওঠেননি ডিম্পল। তার উপর যেই বাবা চুন্নিভাই কাপাডিয়ার এক বন্ধু ডিম্পলকে ডেকে বলল, এবার তো তোমায় স্কুল থেকেই বের করে দেবে! একথা শুনে কেঁপে উঠেছিলেন ডিম্পল। তবে বিধাতা তো কপালে অন্য কিছুই লিখেছেন। কুষ্ঠ দিয়েছেন শরীরে অবশ্য, তবে ভাগ্য লিখেছিলেন স্বর্ণাক্ষরে। আর তাই তো রাতারাতি ডিম্পলের জীবন বদলে যায়।
রাজ কাপুর তখন ছেলে ঋষিকে নায়ক বানিয়ে পর্দায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। ববি ছবির চিত্রনাট্য তৈরি। নায়িকার জন্য রাজের নতুন মুখ চাই। ঠিক এই সময়ই জানতে পারেন ডিম্পল কাপাডিয়ার কথা। এরপরই রাজ অডিশনে ডাকেন তাঁকে।
এক সাক্ষাৎকারে ডিম্পল জানিয়ে ছিলেন, কনুইয়ে কুষ্ঠ নিয়েই অডিশনে যাই। রাজ কাপুর জানতেন। অডিশনও দিই। উনি কাছে ডেকে আমাকে বলেছিলেন, কোনও চিন্তা নেই, তোমার এই রোগ সেরে যাবে। মন অডিশন দাও।
ডিম্পল এই সাক্ষাৎকারে জানান, প্রথম অডিশনে তিনি ফেল করেছিলেন। তবে মনে মনে আমি জানতাম, ববি আমিই! এক বছর পর রাজ কাপুর ফোন করে বলেন, আমিই ববি ছবির নায়িকা। আসলে, কুষ্ঠ হলেও, ওই সময়টা আমার খুব ভালো যাচ্ছিল। যা ছুঁয়ে দেখছিলাম, তাই সোনা হয়ে যাচ্ছিল। সেটার প্রমাণ ববি ছবির বক্স অফিস রিপোর্ট। প্রথম ছবিতে ডিম্পল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বলিউডে রাজত্ব করতে এসেছেন। আর তা করেনও।
