Uttam Kumar: ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শুটিংয়ে উত্তমকে অপমান মৌসুমীর! তাঁর একদিন পরেই মহানায়কের মৃত্যু, কী ঘটেছিল সেই অভিশপ্ত জুলাই মাসে?
Uttam Kumar feel insulted on Shooting floor: খুব কম লোকই জানেন, 'ওগো বধূ সুন্দরী'র শুটিং ফ্লোরের আরেক গল্প। যা কিনা উত্তমকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। শোনা যায়, সেই ঘটনায় মারাত্মক অপমানিত হয়েছিলেন মহানায়ক!

সলিল দত্তর ওগো বধূ সুন্দরীর সেটেই যে উত্তম কুমার অসুস্থ হয়েছিলেন তা অজানা নয়। এমনকী, অজানা নয়, সেই অসুস্থতাই কেড়ে নিয়েছিল মহানায়কের প্রাণ। কিন্তু হয়তো হাতে গোণা খুব কম লোকই জানেন, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শুটিং ফ্লোরের আরেক গল্প। যা কিনা উত্তমকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। শোনা যায়, সেই ঘটনায় মারাত্মক অপমানিত হয়েছিলেন মহানায়ক! আর তারপরের দিনই অসুস্থ হন ও তারপর মৃত্যু।
তা ঠিক কী ঘটেছিল?
সালটা ১৯৮০। জুলাই মাস। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র শুটিং করছেন উত্তম কুমার, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ও সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়। ততদিনে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে ফেলেছেন মৌসুমী। অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর, রাজেশ খান্নার সঙ্গে জমিয়ে অভিনয়ও করছিলেন। সেই সময়ই উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ। এমনিতেই মহানায়ককে কাকা ডাকতেন মৌসুমী। শ্বশুর মশাই হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়ই তাঁকে প্রথমবার উত্তমের সঙ্গে আলাপ করিয়ে ছিলেন। তাই উত্তমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল স্নেহভরা। কিন্তু সেই মৌসুমীর কাছ থেকেই যে এমন ব্যবহার পাবেন উত্তম, তা আশাও করেননি।
দিনটা ২২ জুলাই, ১৯৮০। ওগো বধূ সুন্দরীর শুটিং ফ্লোরে পা দিলেন উত্তম কুমার। মেকআপ করতে মেকআপ রুমের দিকে হাঁটা দিতেই, শুটিংয়ের একজন বলে উঠলেন, দাদা ওই মেকআপ রুমে ভুলেও ঢুকবেন না। ওখানে মুম্বইয়ের নামকরা অভিনেত্রী মেকআপ করছেন! উনি কাউকে ঢুকতে বারণ করেছেন! এমন কথা শুনে চমকেই উঠেছিলেন উত্তম। এতদিন যে রুমে বসে তিনি মেকআপ করতেন, সেখানেই ঢুকতে বাধা! সেদিন কাউকে কিছু জানতে দেননি উত্তম। চুপচাপ শুটিং সেরেছিলেন।
সুপ্রিয়া চৌধুরী তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, মৌসুমীর এমন ব্যবহার সেদিন খুব কষ্ট দিয়েছিল উত্তমকে। উত্তম বলেছিলেন, আমার সময় শেষ বেণু! না হলে আমার জায়গাতেই, আমাকে ঢুকতে বাধা!
২৪ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহানায়ক। শুটিং ফ্লোরের সেই ঘটনার ঠিক একদিন পরে। এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মৌসুমী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, ” উত্তমকাকু যে মেকআপ করতে এসেছিলেন, তা আমিই জানতামই না। নাহলে আমার কখনও স্পর্ধা হত না, উত্তমকাকুকে ওমন বলার। আমার তেমন সাহসও নেই। উনি আমার শ্বশুর মশাইয়ে বন্ধু, মহানায়ক, তাঁকে আমি এরকম বলতে পারি!পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি।”
