AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes: ডায়াবেটিসের প্রতিকার খুঁজছেন? ছোট্ট এই ফলের গুণেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার

Fig: সাধারণত মাছের ঝোলে ডুমুর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি ডুমুর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই বিশ্বাস করেন পুষ্টিবিদরা।

Diabetes: ডায়াবেটিসের প্রতিকার খুঁজছেন? ছোট্ট এই ফলের গুণেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার
ডুমুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী...
| Edited By: | Updated on: May 20, 2022 | 9:48 AM
Share

ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি লাইফস্টাইল ডিজ়িজ যা সুনির্দিষ্ট কোনও নিরাময় নেই। ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে গেলে জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর জীবনধারাই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়। এছাড়াও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Sugar Level) নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তেমনই একটি খাবার হল ডুমুর। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই বিশ্বাস করেন পুষ্টিবিদরা। সাধারণত মাছের ঝোলে ডুমুর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর পাশাপাশি ডুমুর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী।

পুষ্টিবিদের মতে, ডায়াবেটিসের রোগীদের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে ডুমুর। ডুমুরের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু কী ধরনের ডুমুর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বেশি সহায়ক সেটা কি জানেন?

ডুমুর শুকনো এবং তাজা উভয়ই পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা সবসময় তাজা ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ শুকনো ডুমুরে তাজার থেকে বেশি ক্যালরি এবং চিনি থাকে। আর যেহেতু শুকনো ডুমুরে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ রিসার্চ ইন ফার্মেসি অ্যান্ড বায়োসায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় অনুযায়ী, ডুমুরে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান রয়েছে, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন যে ডুমুর পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতিতেও উপকারী।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ডুমুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ডুমুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,ভিটামিন এ, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে। সেই সঙ্গে ডুমুরের মধ্যে রয়েছে পেকটিন- যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, এককাপ জলে সারারাত দু-তিনটে ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে সেই জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনই অনেক শারীরিক সমস্যারও সমাধান হবে। পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে এতে।

ক্যানসার প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রয়েছে ডুমুরের। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে, যেখানে থেকে জানা গিয়েছে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে প্রচুর মহিলা স্তন ক্যানসারের সমস্যায় ভোগেন। আর তাই ডুমুরের তরকারি বা ডুমুর ভেজানো জল খেলে কিন্তু এই ক্যানসারের সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ হ্রাস পায়।

ডুমুরের মধ্যে থাকা ফাইবার যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দারুণ উপযোগী। মিনারেলের পাওয়ার হাউস এই ডুমুর। এর পাশাপাশি ডুমুরের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে রাখে। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই ডুমুরের।