Ayurvedic Tips: রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়? আয়ুর্বেদের সহজ টোটকায় দূর হবে অনিদ্রা
Sleep: সারাদিনের পরিশ্রমে, ক্লান্তিতে চোখের পাতা বুজে আসে। কিন্তু বিছানায় শুলে দেখা নেই ঘুমের। চোখ জ্বালা-জ্বালা করলেও মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়।
সুস্থ থাকতে দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। কিন্তু সব সময় কি সেটা হয়ে ওঠে? তার চাইতেও বড় কথা হল, আপনার ঘুম কি গভীর হয়? সারাদিনের পরিশ্রমে, ক্লান্তিতে চোখের পাতা বুজে আসে। কিন্তু বিছানায় শুলে দেখা নেই ঘুমের। চোখ জ্বালা-জ্বালা করলেও মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। আর এমন অনেক মানুষই রয়েছে যাঁরা নিয়মিত ভুগছেন এই অনিদ্রার (Insomnia) সমস্যায়। ঘুম না এলে শেষ পর্যন্ত অনেকেই সাহায্য নেন ঘুমের ওষুধের। এটা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ক্রমাগত এরকম চলতে থাকলে, দেখা দেয় ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যা। এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে মানসিক অবসাদ (Mental Health) এবং আরও নানা ধরনের মানসিক সমস্যা। কাজেই ঘুমের সমস্যাকে বাগে আনতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা জরুরি। কী-কী নতুন অভ্যাস জীবনে আনবেন, তার জন্য সাহায্য নিন আয়ুর্বেদের।
প্রাণায়ম করুন- ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রাণায়ম করুন। ঘুমতে যাওয়ার আগে প্রাণায়ম করলে স্নায়ুতন্ত্র উন্নত করে। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন- আয়ুর্বেদের মতে, ঘুমের সমস্যা দূর করে প্রাণায়ম সবচেয়ে কার্যকরী। কিন্তু আপনি যদি প্রাণায়ামের চেয়েও সহজ কোনও উপায়ের খোঁজে থাকে তাহলে ওম জপের সঙ্গে গভীর শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার অনুশীলন করুন। প্রথমে ওম জপ করার সময় শ্বাস গ্রহণ করুন, এরপর নাক ও মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এটি মনের ওপরও ভাল প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি এই অভ্যাস ঘুমকে প্রচরিত করে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে পা ধুয়ে নিন- প্রাচীনকাল থেকে একটা অভ্যাস আমাদের জীবনধারার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তা হল বাড়ি ফিরে সবার প্রথমে পা ধোয়া। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, পা ধুয়ে ঘুমোতে যাওয়া উচিত। এতে মানসিক চাপ কমে এবং ঘুম ভাল হয়।
গ্যাজেট ব্যবহার করবেন না- ঘুমোতে যাওয়া আগে ফোন, ল্যাপটপ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আয়ুর্বেদের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করা উচিত।
তেল মালিশ- ঘুমানোর আগে গরম তেল মালিশ করলে মানসিক চাপ কমে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এর ফলে রাতে ঘুমও ভাল হয়। যদি সম্ভব হয় তাহলে পুরো শরীরে ম্যাসাজ করুন। অন্যথায়, কপাল এবং কাঁধে তেল মালিশ করতে পারেন। এতে পেশীও শিথিল হয়।