Curry Leaves: রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে একা কারি পাতাই যথেষ্ট! দাবি জানাচ্ছে গবেষণা
Cholesterol-Blood Sugar Level: কারি পাতা ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মর্নিং সিকনেস এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে কোলেস্টেরল (Cholesterol) এবং গ্লুকোজের (Blood Sugar Level) মাত্রা বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের (Health Care) জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এর ফলে অনেক গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যদিও উচ্চতর কোলেস্টেরল হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এর পাশাপাশি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেশি হলে ডায়াবেটিস (Diabetes) সহ অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য এই দুটি জিনিসের মাত্রাই নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি।
কোলেস্টেরল দুই ধরনের হল, ভাল (এইচডিএল) এবং খারাপ (এলডিক)। শরীরের অনেক অঙ্গের ভাল কার্যকারিতার জন্য ভাল কোলেস্টেরল অপরিহার্য। কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে রোগ গঠনে মূল ভূমিকা পালন করে। একইভাবে, রক্তে শর্করা বা রক্তের গ্লুকোজ আপনার খাওয়া খাবার থেকে আসে এবং এটি শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি, এর বৃদ্ধির কারণে ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত প্রস্রাবের মতো সমস্যা হতে পারে।
রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ বা কম করার জন্য অনেক ওষুধ পাওয়া যায়, তবে সেগুলিকে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং জীবনধারার মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এর জন্য কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কারি পাতা রক্তের কোলেস্টেরল এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।
নবভারত টাইমসের মতে, ওই একই গবেষণায়, গবেষকরা দেখেছেন যে কারি পাতার নির্যাসে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই পাতা গ্রহণ করার পরে, কোলেস্টেরলের মাত্রা ২৭৭.৬+/-১৬.৬ মিলিগ্রাম দ্বারা হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে কারি পাতার নির্যাসে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যেও রক্তের কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই গবেষণায়, ইঁদুরকে টানা ১০ দিন ধরে ৪০ মিলিগ্রাম কারি পাতার নির্যাস দেওয়া হয়েছিল এবং ফলাফলগুলি অবাক করে দেওয়ার মতো ছিল।
কারি পাতার রস শুধু রক্তের কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার কমাতেই সাহায্য করে না, ওজন কমাতেও সাহায্য করে। গবেষকরা ওই গবেষণায় দেখেছেন, এই চিকিৎসার পর ইঁদুরের শরীরের ওজনও কমে গেছে।
কারি পাতা কপার, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। এই সমস্ত পুষ্টি শরীরের ভাল কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।
কারি পাতা আপনাকে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, সকালের অসুস্থতা এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এতে ক্ষত, পোড়া এবং ত্বকের সংক্রমণ নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় অ্যালকোহল পান করা কি উচিত? জেনে নিন