করোনাকালে ঘুমোলেই বাড়বে ইমিউনিটি! নয়া তথ্য
আমরা সকলেই জানি, ধাতু হিসেবে সোনা খুবই দামি। সোনা জমিয়ে রাখতে পারলে জীবনে অভাব আসবে না। তবে তার চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইমিউনিটি।
করোনা মহামারী এসে দেখিয়ে দিয়েছে, ‘স্বাস্থ্যই একমাত্র সম্পদ’! অতএব ইমিউনিটি বাড়াতে প্রায় প্রত্যেকেই এখন শরণাপন্ন হচ্ছেন চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ান এবং ফিটনেস বিশারদের কাছে। তবে শুনলে অবাক হবেন, শুধু খাবার খেলে আর এক্সারসাইজ করলেই ইমিউনিটি বাড়বে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে ঘুমোতেও হবে!
প্রতিদিন পর্যাপ্ত মাত্রায় না ঘুমোলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ঠেকতে পারে তলানিতে! আর এই নিয়ে একাধিক সমীক্ষা হয়েছে। গবেষণার পরে সকল গবেষকই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, না ঘুমোলে শরীরের দফারফা হতে দেরি হয় না।
কেন ঘুম এত জরুরি? বস্তুতঃ, রাতে আমরা যখন ঘুমোই, তখন ঘুমের মধ্যেই আমাদের শরীরের নানাবিধ মেরামতির কাজ চলে। একইসঙ্গে ঠিক ওই সময়েই আমাদের শরীর তৈরি করে মেমোরি টি সেল। নানাবিধ রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই চালানোর জন্য এই মেমোরি টি সেল শরীরে সঞ্চিত হতে থাকে ঘুমের সময়। প্রয়োজন পড়লে এরাই মাঠে নামে ও জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। সুতরাং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে হলে, ঘুম অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন: করোনা হওয়ার পর কতদিন পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে? নয়া গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
সমীক্ষা অনুসারে, ইমিউনিটি স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্করই প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ঘুমনো উচিত। যাঁরা ৮ ঘণ্টারও কম ঘুমোন তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে। নানা ধরনের অসুখ এবং সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও তাঁদের বেশি থাকে। এমনকী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত লোক দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁরা নানা ধরনের রোগে ভোগেন শরীরের ওজন বেশি থাকার জন্য। এমনকী তাঁদের অবসাদের মতো সমস্যাও হতে দেখা যায়। অন্যদিকে যাঁরা ৮ ঘণ্টা ঘুমোন তাঁদের এই ধরনের সমস্যা সাধারণত হতে দেখা যায় না। তাহলে আর দেরি না করে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা সময় ঘুমোনো অভ্যেস করুন।