করোনা হওয়ার পর কতদিন পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে? নয়া গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দিন দিন করোনাভাইরাসের ভোল পাল্টাচ্ছে। নয়া রূপ নিয়ে হাজির হয়ে উপসর্গ ও চিকিত্‍সা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে চিকিত্‍সকদের মধ্যেই।

করোনা হওয়ার পর কতদিন পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে? নয়া গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 2:06 AM

একবছরের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্ব এই মারণভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। এত দিনে কোভিড নিয় কত যে বিতর্ক তৈরি হয়ে, আবার কিছু বিতর্ক এখনও জারি রয়েছে। সারা দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চলাকালীনই রেকর্ডহারে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরে কত দিন অ্যান্টিবডি থাকে তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনমাস পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে। কিন্তু অ্যান্টিবডির সময়সীমা নিয়েও উঠেছে কিছু প্রশ্ন। নয়া সমীক্ষা উঠে এসেছে নতুন তথ্যও।

নয়া তথ্য

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা এই প্রসঙ্গে নয়া গবেষণা চালান। নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার মৃদু উপসর্গ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর রোগীর দেহে প্রতিরোধক কোষগুলি থেকে SARS-CoV-2 ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির তৈরির প্রক্রিয়া চালু রাখবে। দেখা গিয়েছে, এই জাতীয় কোষগুলি সারাজীবনের জন্যই অ্যান্টিবডির জোগান দিয়ে যাবে। অন্যদিকে সমীক্ষা উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা হল এই মৃদু কোভিডে আক্রান্ত ফের দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অনেকটাই ঝুঁকি কম। গত বছরের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সংক্রমণের পরে অ্যান্টিবডিগুলি দ্রুত ক্ষয় হয়। ফলে দীর্ঘকাল ধরে স্থায়ী না হওয়ায় ফের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরও পড়ুন: Black Fungus: মিউকরমাইকোসিস ঠেকাতে চাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কী বলছেন চিকিত্‍সকরা

গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ১১ মাস পরও ওই রোগীর দেহে শক্তিশালী অ্যান্টিবডিগুলি স্থায়ীভাবে থেকে গিয়েছে। ভাইরাল সংক্রমণের পর , বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি উত্‍পাদনকারী কোষগুলি মারা যায়। যার কারণে রক্তের মধ্যে অ্যান্টিবডি কোষগুলি কমতে থাকে। এই অ্যান্টিবডি প্রোডিউসিং ইমিউন সেলগুলি একটি ছোট সমষ্টি, যাকে দীর্ঘকালীন স্থায়ী প্লাজমা সেল বা প্লাজমা কোষ বলা হয়ে থাকে। এই প্লাজমা কোষ অস্থিমজ্জা থেকে স্থানান্তরিত হয় এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে কিছুটা অংশে থেকে যায়। এই প্লাজমা কোষের মাধ্যমেই অ্যান্টিবডির নিম্নস্তরে গিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখে।

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর যদি ভাবেন আপনি ফের করোনার প্রকোপে পড়বেন না, তা একেবারেই ভুল ভাবনা। কারণ করোনাভাইরাসের বিভ্রান্তিকর চালচলনে দিশেহারা বিজ্ঞানীরাই। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার পরই চিন্তামুক্ত হওয়া চলবে না। এই মারণবাইরাসে একেবারেই অপরিচিত। খোলা মাঠে বারবার গোল দিতে কোন পথ অবল্মবন করছে এই ভাইরাস তা নির্দিষ্ট কোনও আভাস দিতে পারছেন না চিকিত্‍সকবিজ্ঞানীরা।