AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Black Fungus: মিউকরমাইকোসিস ঠেকাতে চাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কী বলছেন চিকিত্‍সকরা

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে, চিকিৎসা করতে হয়েছে স্টেরয়েড ও টোসিলিজুমাব দিয়ে এবং ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে— এমন রোগীর ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) অসুখ বা তাঁর ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি!

Black Fungus: মিউকরমাইকোসিস ঠেকাতে চাই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কী বলছেন চিকিত্‍সকরা
ছবিটি প্রতীকী। সৌজন্যে গুগল ইমেজেস।
| Updated on: May 27, 2021 | 2:57 PM
Share

করোনা অতিমারিতে হু হু করে বাড়ছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) সংক্রমণের সংখ্যা। দিল্লি-সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই মারাত্মক ছত্রাকে আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর (unhygienic) ও অপরিচ্ছন্ন মাস্ক (unhygienic)  ব্যবহার ও কম আলো-বাতাস প্রবেশ করে এমন স্যাঁতস্যাঁতে ঘরের (poorly ventilated rooms) মধ্যে বসবাস করা। ইতোমধ্যে দেশের নামী হাসপাতালের তাবড় তাবড় চিকিত্‍সকরা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভয়ংকর ও মারণ ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা বহু পুরনো মাস্ক ব্যবহার করেছেন, নয়তো মাস্ক বহুদিন ধরে পরিস্কার করেননি। এমন অস্বাস্থ্যকর অভ্যেসগুলি থেকে নতুন করে জেগে উঠেছে এই অসুখ।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে চিকিত্‍সকদের একাংশের দাবি, এই ধরণের ঘটনা বা প্রমাণ এখনও হাতে আসেনি। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র পরামর্শদাতা ড সুরেশ সিং নুরুকা জানিয়েছেন, এই ছত্রাকের বাড়বাড়ন্তের পিছনে প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত পরিমাণে স্টেরয়েড ব্যবহার করার জন্য। তারপর আসছে দীর্ঘদিন ধরে মাস্ক ধুয়ে না পরা, বাতাস চলাচল করতে পারে না এমন বাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস, ঠান্ডা অক্সিজেন ও অপরিচ্ছন্ন মাস্কে বাড়চ্ছে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ!

তিনি এও জানিয়েছেন, নিজে থেকে যে কোনও ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন, শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস করছে, স্টেরয়েড সেবন করছেন বহুদিন ধরে, এমন করোনা রোগীর (COVID patients) মধ্যে মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

এই ছত্রাক থেকে রক্ষা পেতে কী কী পদক্ষেপ অনুসরণ (minor symptoms) করা আবশ্যিক

– পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন বজায় রাখুন। – হিউমিডিফায়ার পরিষ্কার ও প্রতিস্থাপন ( অক্সিজেন কনসেন্টেট্রর ব্যবহারকারীদের জন্য) জীবাণুমুক্ত করা। স্যালাইনের বোতল ভালো করে স্টেরিলাইজড করা। – প্রতিদিন মাস্ক পরিস্কার জলে ধুয়ে রাখুন। রিইউজিবল হলে পর ৩-৪ দিন পরতে পারেন। একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ধুয়ে-কেচে শুকিয়ে রাখবেন। খুব ভাল হয় যদি প্রতিদিনকার মাস্ক ব্যহারের পর ডাস্টবিনে ফেলে দিলে। – যাঁরা স্টেরয়েড নেন, তাঁরা যেন সারাদিন ২-৩ বার ব্লাড সুগার লেভেলের তালিকা মেনে চলেন।

আরও পড়ুন: কালো ও সাদার থেকেও মারাত্মক এই হলুদ ছত্রাক! উপসর্গ কী, কারা আক্রান্ত হতে পারেন, সবটা জেনে নিন…

ছোট ছোট লক্ষণগুলি (minor symptoms) এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই উচিত নয়

চোখ ও কানের চারপাশে ব্যথা অনুভব করা, লাল হয়ে যাওয়া, হালকা জ্বর, নাক থেকে রক্তপাত হওয়া (এপিস্ট্যাক্সিস), সাইনাসের মারাত্মক যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্ত বমিভাব, মানসিক অস্থিরতা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস হওয়া, চোখে আংশিক ঝাপসা দেখলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।