আতঙ্ক বাড়িয়ে কালো-সাদা-হলুদের পর এবার হাজির নয়া ছত্রাক!
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন কয়েকজন রোগীর শরীরে পাওয়া গিয়েছে অ্যাস্পারগিলোসিস সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার ভদোদরায় নতুন করে ২৬২ জনের মধ্যে মিউকরমাইকোসিস ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) সংক্রমণের জেরে ভারতে মোট ১১ হাজারের বেশি কেস পাওয়া গিয়েছে। করোনা অনিমারির মধ্যেই মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে এই মারাত্মক ছত্রাকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে ভাদোদরার চিকিত্সকরা পেলেন আরও এক ভয়ংকর ছত্রাক সংক্রমণের ইঙ্গিত। মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) ছত্রাকের মতোই আরও এক নয়া ছত্রাকের আগমন ঘটেছে দেশে। ইতোমধ্যেই নয়া ছত্রাক সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে হাসাপাতালে চিকিত্সাধীন ৮জন।
অ্যাস্পারগিলোসিস সংক্রমণ (Aspergillosis Fungal Infection) আসলে কী?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে আপসকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এই পালমোনারি অ্যাস্পারগিলোসিস সংক্রমণ (Pulmonary aspergillosis infection) লক্ষ করা গিয়েছে। যদিও করোনা রোগীদের শরীরের যে সাইনাস পালমোনারি অ্যাস্পারগিলোসিস (Sinus pulmonary aspergillosis) সনাক্ত করা গিয়েছে, তা একেবারেই বিরল। অ্যাস্পারগিলোসিস সাধারণত মিউকরমাইকোসিসের মতো অতটা মারাত্মক না হলে, সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এই ছত্রাক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেন। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: কালো ও সাদার থেকেও মারাত্মক এই হলুদ ছত্রাক! উপসর্গ কী, কারা আক্রান্ত হতে পারেন, সবটা জেনে নিন…
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Center for Disease Control and Prevention) থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাস্পারগিলাস থেকে সৃষ্ট এই ছত্রাকে পোশাকি নাম অ্যাস্পাগিলোসিস। বাড়ির অভ্যন্তরে ও বাইরে এই ছত্রাকের বসবাস। এই ছত্রাকের আণুবিক্ষণিক বীজ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্টে ভোগেন অধিকাংশ মানুষ। তবে যাঁদের ফুসফুসে সমস্যা ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা(immune system) রয়েছে, তাঁদের এই ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। এই সংক্রমণের ফলে অ্যালার্জি, ফুসফুস-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলিতে সংক্রামিত করে।
কাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি
কোভিড রোগী (COVID-19 patients) ও সদ্য কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছত্রাক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড নিয়ে আসছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকের মতে, রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করার সময় জীবাণুমুক্ত না করা জল ব্যবহারের ফলে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। কোভিড চিকিত্সায় রোগীর অবস্থা বুঝে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ার একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সকদের সতর্কতার সঙ্গে অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারে রাশ টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।