Wound: জং ধরা ছুড়িতে আঙুল কেটে গিয়েছে? প্রাথমিক করণীয় কী, রইল টিপস
Health Tips: দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায়ই ছোটখাটো কাটাছেঁড়ার সম্মুখীন হই। ছোট বা বড় যে কোনও কাটাছেঁড়ায় প্রাথমিকভাবে জীবাণুনাশক ওষুধ লাগাতে হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ হলে কী করবেন, ব্যথা কমাবেন কীভাবে? এমন আকস্মিক পরিস্থিতিতে কী করবেন? রইল টিপস।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায়ই ছোটখাটো কাটাছেঁড়ার সম্মুখীন হই। কখনও সবজি কাটতে গিয়ে, আবার কখনও দৈনন্দিন কাজে অসাবধান হয়ে গেলে। অনেক সময় রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেও হাত-পা কেটে যায়। আর বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে এই ধরনের ছোট চোট-আঘাত লাগতেই থাকে তার। তাই হাতের কাছে জীবাণুনাশক ওষুধ রাখতেই হয়। এই ধরনের সমস্যায় প্রাথমিকভাবে কী করনীয় জানেন? কী ভাবে যত্ন নিলে আপনার এই কাটাছেঁড়া দ্রুত নিরাময় হবে? ছোট বা বড় যে কোনও কাটাছেঁড়ায় প্রাথমিকভাবে জীবাণুনাশক ওষুধ লাগাতে হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ হলে কী করবেন, ব্যথা কমাবেন কীভাবে? এমন আকস্মিক পরিস্থিতিতে কী করবেন? রইল টিপস।
কেটে গেলে সবার প্রথমে জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিন। সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে সবচেয়ে ভাল হয়। কিন্তু যে কোনও সাবান ব্যবহার করলে চলবে না। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী।এরপর আপনি কোনও সংক্রমণরোধী মলম বা ওষুধ লাগিয়ে নিতে পারেন। যদি রক্তক্ষরণ হতে থাকে, তাহলে কাটা স্থানের মুখে চিনি চেপে ধরুন। চিনি রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। রক্তক্ষরণ করলে কাটা জায়গায় গজ কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিতে পারেন। ছোট ক্ষত ছোট থাকে তাহলে ব্যান্ডেডও লাগাতে পারেন। যদি লোহা বা কোনও জং ধরা ধারালো জিনিসে লেগে কেটে যায়, তাহলে টিটানাস ইঞ্জেকশন নেওয়া জরুরি। এটি ব্যাকটেরিয়াকে আপনার দেহে প্রবেশ করতে বাধা দেবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ সাহায্য করবে।
এছাড়া এমন বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা আপনি ক্ষত স্থানে লাগালে দ্রুত সেরে উঠবে।
হলুদ- হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। এটি ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ক্ষত সারাতে রোজ রাতে হলুদ মেশানো দুধ পান করতে পারেন।
রসুন- রসুনের মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। এটি রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ও কাটাছেঁড়ার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। রসুন থেঁতো করে কাটার উপর লাগাতে পারেন।
মধু- মধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এতেও রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। শুধু ক্ষতস্থানের উপর মধু লাগিয়ে রাখুন।
অ্যালোভেরা- ক্ষতস্থানের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। পাশাপাশি এটি ব্যথাও কমাবে। ক্ষত স্থানের উপর আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
নারকেল তেল- নারকেল তেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি ক্ষত সারিয়ে তুলতে এবং ক্ষত দাগ দূর করতে সাহায্য করে।





