Foods For Healthy Pancreas: ডায়াবেটিসের রোগীরা সাবধান! অগ্ন্যাশয় সুস্থ রাখতে এই কয়েকটি খাবারই মারণাস্ত্র

Diet plan for healthy Pancreas: আয়ুর্বেদ খালি পেটে রসুন আর মধু খাওয়ার পরামর্শ দেয়। NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের বৈশিষ্ট্য

Foods For Healthy Pancreas: ডায়াবেটিসের রোগীরা সাবধান! অগ্ন্যাশয় সুস্থ রাখতে এই কয়েকটি খাবারই মারণাস্ত্র
অগ্ন্যাশয় সুস্থ রাখতে যা করবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 7:19 AM

খাবার হজম করতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল অগ্ন্যাশয়। অ্যাসিডিক যে কোনও খাবারকে ভেঙে হজম করায়, এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড হজম করতে সাহায্য করে অগ্ন্যাশয়। বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, অগ্ন্যাশয় শরীরের দুটি কাজ করে। যা এনজাইম তৈরি করে হজমে সাহায্য করে আর দ্বিতীয়টি ইনসুলিন তৈরি করে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা। অগ্ন্যাশয় থেকে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয় না তখনই সমস্যা বেশি হয়। যে অবস্থাকে বলা হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিস। আর তাই সুগারের রোগীদের অগ্ন্যাশয়ের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। অগ্ন্যাশয় ঠিক ভাবে কাজ না করলে সেখান থেকে ডায়াবেটিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের মত একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

রোজকার খাবারই প্রভাব ফেলে আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রায়। সুগার থাকলে তাই আগে থেকেই সচেতন হতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি, কার্বোহাইড্রেট, তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এই সব খাবার বেশি খেলেই সেখান থেকে আসে যাবতীয় সমস্যা। আর তাই রোজ যে সব খাবার নিয়ম করে রাখবেন ডায়েটে-

NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী অগ্ন্যাশয়ের যে কোনও সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে কাঁচা হলুদ। প্রাকৃতিক ভাবে প্রদাহ বিরোধী। সেই সঙ্গে অগ্ন্যাশয়ের জ্বালা-পোড়া ভাব কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন উৎপাদনে উদ্দীপিত করে। সঙ্গে শর্করারমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদ খালি পেটে রসুন আর মধু খাওয়ার পরামর্শ দেয়। NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের বৈশিষ্ট্য। যা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সেই সঙ্গে রসুন মধু ছাড়াও কিন্তু ব্যবহার করা হয়। রান্নায় মেথি-রসুন এবং রসুন-পেঁয়াজ ব্যবহার করলে তার একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে অগ্ন্যাশয়ের অভ্যন্তরীণ টিস্যু মেরামতি করতেও ব্যবহার করা হয় এই রসুন।

পালং শাক অগ্ন্যাশয় ভাল রাখতেও দারুণ ভাবে উপকারী। এই পালং শাকের মধ্যে রয়েছে আয়রন। যা অগ্ন্যাশয়ের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও থাকে ভিটামিন বি। যা অগ্ন্যাশয়ের যে কোনও রকম ক্ষত নিরাময় করে। এছাড়াও পালং শাকের মধ্যে রয়েছে মনোগ্যালাক্টোসাইলিডিয়াসাইগ্লিসারল (monogalactosyldiacylglycerol)যা ক্যানসার বিরোধী এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করে।

ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি এসব নিয়মিত ভাবে খেলেও কমে যায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে এই সব সবজির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। যা আমাদের অগ্ন্যাশয়ের কোষকে ক্যানসাকের হাত থেকে মুক্ত রাখে। এছাড়াও থাকে ফ্ল্যাভিনয়েড। যে কারণে শরীর থাকে ফিট। সঙ্গে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও খুব ভাল হয়।

লাল বড় আঙুরের মধ্যে থাকে রেভেরাট্রল। যা আদতে ফেনোলিক এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ দূর করে, ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। দিনের মধ্যে ৪ টে এই আঙুর খেলেই যথেষ্ট।

অগ্ন্যাশয়ের যে কোনও অসুখ ঠেকাতে দারুণ কার্যকরী হল মিষ্টি আলু। রোজ নিয়ম করে এই আলু খেলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। আর এই মিষ্টি আলু রক্ত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তের মাত্রাকে স্থিতিশীল করে।