Uric Acid Diet: টমেটো থেকে মুসুর ডাল সব বাদ? জানুন ইউরিক অ্যাসিড বাগে আনার সহজ উপায়

Diet Tips: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে খাদ্যের ব্যাপারে কতটা কড়া নিয়ম মেনে চলতে হয়, এর কি কোনও মাপকাঠি রয়েছে?

Uric Acid Diet: টমেটো থেকে মুসুর ডাল সব বাদ? জানুন ইউরিক অ্যাসিড বাগে আনার সহজ উপায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 7:00 AM

কয়েক দিন ধরে বেড়েছে পায়ের গাঁটে ব্যথা (Gout Health)। ডাক্তারের কাছে যেতে প্রেসক্রিশনে লিখে দিয়েছেন ইউরিক অ্যাসিড স্টেট। রিপোর্ট হাতে পেতেই মুসুর ডাল থেকে টমেটো সব বর্জন করা শুরু করে দিয়েছেন। সমস্যা একটাই- ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ইউরিক অ্যাসিডে গাঁটের ব্যথায় (Joint Pain) কষ্ট পাচ্ছেন। অন্তত এমনই তথ্য প্রকাশ করছে আমেরিকান কলেজ অফ রিউম্যাটোলজির এক গবেষণাপত্র। কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেই যে সব খাওয়া ত্যাগ করে সেদ্ধ খাবারের উপর জীবন কাটাতে হবে এমনটা কিন্তু মোটেও নয়।

শরীরের দূষিত রেচক হল এই ইউরিক অ্যাসিড। শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনি দিয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় তা বেরোতে না পেরে রক্তেই জমা হতে শুরু করে। আর রক্তে ইউরিক অ্যাসিড একবার বাড়তে শুরু করলেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তখন গাঁটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। জায়গাটা লাল হয়ে যায়। তবে এই লক্ষণটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুধু পায়েতেই দেখা দেয়। কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে খাদ্যের ব্যাপারে কতটা কড়া নিয়ম মেনে চলতে হয়, এর কি কোনও মাপকাঠি রয়েছে?

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগেই বেশির ভাগ মানুষ টমেটো, মুসুর ডাল, ঢেঁড়শ, দানা-যুক্ত সব আনাজ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটা কি ঠিক করছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়া কমিয়ে দিলেই যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং বুঝে-শুনে খাবার খেলে শরীর বেশি ভাল থাকবে।

আসলে খাবার হজম হওয়ার সময় শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। সাধারণত এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিংবা ওজন বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যখন ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হয় এবং সেটা শরীর থেকে বেরোতে পারে না তখন সেটা ক্রিস্টালের আকার নিয়ে শরীরে জমা হয়ে থাকে। আর এখান থেকে গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো রোগগুলো তৈরি হয়। তাই দানা-যুক্ত সব সব্জি, ডাল খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলেই যে আপনি সুস্থ থাকবেন তা কিন্তু নয়।

একটা সময় ছিল যখন ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাবারের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন পরিমাণ কম খেতে বললেও খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে বলে না কেউ। বরং ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সবই খাওয়া যায়। তবে চেষ্টা করুন পালং শাক, বিনস, বরবটি, রাজমার মতো খাবারগুলো কম খাওয়ার। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে পালং শাক, পুঁই শাক, মুসুর ডাল, বিউলি ডাল, মাটন, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। তবে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মাছ, চিকেন বা ডিম খেতেই পারেন। পাশাপাশি টমেটো, ঢেঁড়শ রান্না করে খেলে কোনও ক্ষতি নেই।

এর সঙ্গে শুধু নজর রাখতে হবে খাবারের পরিমাণের দিকে। পাশাপাশি এমন কোনও খাবার খাবেন না যাতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। ওজন বেড়ে গেলে তা ইউরিক অ্যাসিডের উপর কু-প্রভাব ফেলে। প্রয়োজনে প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার পান করতে হবে। এতে আপনি সহজেই এড়াতে পারবেন ইউরিক অ্যাসিড সহ নানা রোগের ঝুঁকি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।