হাতে, পায়ে, কোমরে কোনও রকম ব্যথা নেই এমন মানুষের সংখ্যা এখন হাতে গোনা। সকলেই কোনও না কোনও সমস্যায় ভুগছেন। আগে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এই সব ব্যথা আসত। এখন অল্প বয়স থেকেই শরীরে গ্রাস করছে নানা সমস্যা। হঠাৎ করেই হাত নাড়াতে না পারা, মাথার উপর হাত তুলতে না পারা, গামছা দিয়ে চুল মুছতে না পারা এসব আর্থ্রাইটিসেরই লক্ষণ।
আর্থ্রাইটিস হল হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা। আর তাই আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা, ব্যায়াম শুরু করা যায় তত শীঘ্র সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
হাতে আর্থ্রাইটিস হলে আঙুল ফুলে যায়। সেক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ করতেও সমস্যা হয়। পেন ধরতে না পারা, নিজের হাতে জল খেতে না পারা এসব সমস্যা তো লেগেই থাকে। এক্ষেত্রে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সম্ভাবনা থেকে যায় সবচাইতে বেশি। কিছু ক্ষেত্রে হতে পারে অস্টিও আর্থ্রাইটিসও।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা সকালের দিকে সবচাইতে বেশি হয়। তবে পরের দিকেও হতে পারে। আর তাই বাড়তি সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ব্যথা হলে এক্স রে করান। চিকিৎসকের কাছে যান। নিজে থেকে পেইন কিলার কিনে খাবেন না।
এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হল রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম ফিজিওথেরাপি করা। সঙ্গে জীবনযাত্রায় আনতে হবে পরিবর্তন। অতিরিক্ত তেল মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। ধূমপান, মদ্যপান করলে কোনও ওষুধ কাজ করবে না। তাই এই দিকটা মাথায় রাখুন।
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা হলে চিকিৎসকরা প্রথমেই অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলার কথা বলেন। আর্থ্রাইটিসের সবথেকে ভাল ওষুধ ওজন কমানো। এছাড়াও অতিরিক্ত ভারী কিছু তোলা যাবে না। এতে চাপ পড়ে জয়েন্টে, বিশেষত হাঁটুতে। সেই সঙ্গে কোমর, পায়ের পাতা, গোড়ালিতেও কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত এক্সসারসাইজ কিংবা ওয়েট ট্রেনিং নয়। বরং স্ট্রেচিং, যোগা এই ব্যথা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন। তবেই মিলবে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি।