শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে খুব মুশকিল। কোলেস্টেরল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে হৃদরোগের ঝুঁকি। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক থেকে শুরু করে আরও নানা সমস্যাও দেখা যেতে পারে। একবার কোলেস্টেরল ধরা পড়লে তাকে যত দ্রুত সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে, সেটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই দ্রুতটা কত? বিশেষজ্ঞদের মতে চাইলে ১ মাসের মধ্যেও কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব। তবে তার জন্য কেবল ওষুধ খেলেই হবে না। বদল আনতে হবে জীবনধারাতেও। মেনে চলতে হবে ৩ নিয়ম। জানেন কোন ৩ অভ্যাসের গুণে মাত্র ১ মাসে বশে আসতে পারে জেদী কোলেস্টেরল?
১। ডায়েট – খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন না থাকলে কোলেস্টেরলকে কমানো যাবে না। রোজের ডায়েটে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রাখাটা জরুরি। ওটস, বিভিন্ন বাদাম থেকে শুরু করে ফল, শাকসবজি চিকেন, ডাল বেশি করে খান। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন। কেক, মাটন, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্যাকেটজাত খাবার একদম বন্ধ।
২। ওজন কমানো – মেদ না ঝরালে কোলেস্টেরলকে বাগে আনা সোজা। আজকাল ওবেসিটির সমস্যা ঘরে ঘরে। আর এই ওবেসিটিই হাজার এক ধরনের ক্রনিক অসুখ ডেকে আনে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, অলস জীবনযাপন ছাড়তে হবে। তবেই কোলেস্টেরল সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে হবে।
৩। শরীরচর্চা জরুরি – সপ্তাহে কমপক্ষে ৬ দিন অন্তত ৪৫ মিনিট করে শরীরচর্চা করতে হবে। যোগব্যায়াম করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এলডিএল কোলেস্টেরল কমার পাশাপাশি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ে। কোলেস্টেরল কমাতে আপনি যে কোনও ধরনের কায়িক পরিশ্রম করতে পারেন। এতে ভাল ফল মিলবে।
কোলেস্টেরলের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ১ মাস এই নিয়ম মেনে চলুন। ফল মিলবে হাতে না হাতে।