Hormone Imbalance: অবাঞ্চিত হরমোনের সমস্যা এড়াতে কেমন হবে আপনার ডায়েট?
Health Tips: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিসিওএস কিংবা পিসিওডি-এর সমস্যার কারণে হরমোনগুলো ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
শরীরে যখনই কোনও অস্বস্তি দেখা দেয় আমরা ভাবি এটা কোনও রোগের লক্ষণ। আর হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকে কেউ ‘রোগ’ বলে গণ্য করে না। কিন্তু হরমোনের ভারসাম্য একবার বিগড়ে গেলে শরীরে কী-কী সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হয়তো আপনি ধারণাও করতে পারেন না। দিনের পর দিন ঘুম না হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা, খিদে না পাওয়া কিংবা খাবার খাওয়ার প্রতি অরুচি, ব্রণ বা ত্বকে র্যাশের সমস্যা বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া- এগুলো হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। অ্যানজাইটি বেড়ে যাওয়া কিংবা অত্যন্ত ক্লান্তি অনুভব করা মানসিক চাপ মনে হলেও অনেক সময় এর পিছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দায়ী থাকে। বেশির ভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করে যায় এবং লাইফস্টাইলকে আরও জটিল করে তোলে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে যত্ন নেওয়া জরুরি। যদিও পুরুষদের তুলনায় এই সমস্যা বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়।
হরমোনের গণ্ডগোল শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিসিওএস কিংবা পিসিওডি-এর সমস্যার কারণে হরমোনগুলো ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু এই অবস্থার যত্ন না নিলে মানসিক স্বাস্থ্য থেকে প্রজনন স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হরমোনের তারতম্যকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে। জীবনধারাতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এর পাশাপাশি আপনাকে সাহায্য করতে পারে খাবার। খাদ্যাভ্যাসের দ্বারা এই সমস্যাকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সর্বোপরি, খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি, ফল বেশি করে খেতে হবে। যত বেশি রঙিন সবজি, ফল খাবেন, এই সমস্যা ততই এড়ানো যাবে। এর জন্য আপনি ডায়েটে বিট, তরমুজ, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, বাঁধাকপি, পালং শাক ইত্যাদি রাখতে পারেন।
ওজন কমাতে গিয়ে দেখছেন প্রচুর পরিমাণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে, এতটাও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে ডায়েট থেকে ফ্যাটকে পুরোপুরি বাদ দেবেন না। বরং রোজের খাদ্যতালিকায় ভাল ফ্যাটকে রাখুন। এর জন্য ঘি, আমন্ড, আখরোট, ডিমের কুসুম, টক দই খেতে পারেন।
লিভার সুস্থ থাকলে শরীরে হরমোনগুলোও ঠিকঠাকভাবে কাজ করে। আর লিভারকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। এতে শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং শরীর সুস্থ থাকে। এর পাশাপাশি আপনি বাড়িতে ডিটক্স ড্রিঙ্ক তৈরি করে পান করতে পারেন। লেবু, আদা ও মধুর তৈরি ডিটক্স ড্রিঙ্ক সবচেয়ে উপকারী।
ডায়েটে যেমন কিছু খাবার যোগ করবেন, তেমনই কিছু খাবার পরিত্যাগও করবেন। প্রথমত, চিনি যুক্ত খাবার খাবেন না। পরিশোধিত চিনি যুক্ত খাবার খেলে লেপটিক নামের হরমোন উৎপাদন কমে যায়। এতে শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। পাশাপাশি বাইরের ভাজাভুজি, ডায়েট কোক, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।