Acidity Treatment At Home: গরমে বিরিয়ানি-চাঁপ খেয়ে বুক জ্বালা? ওষুধ নয় স্বস্তি দেবে এই খাবার!

How To Avoid Acidity: মশলাদার খাবার খেয়ে শরীর বিগড়ে গেলে অন্য কিছু না খেয়ে বেশি করে গরম জল খান। আর যদি দুপুরে এসব হাবিৃজাবি খাওয়া হয় তাহলে রাতে দই-ওটস খান। এতে পরিপাক ক্রিয়া ঠিক থাকে

Acidity Treatment At Home: গরমে বিরিয়ানি-চাঁপ খেয়ে বুক জ্বালা? ওষুধ নয় স্বস্তি দেবে এই খাবার!
অ্যান্টাসিডের পরিবর্তে যা খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 3:22 PM

মশলাদার খাবার হিসেবে ভারতীয় খাবারের বেশ নামডাক পয়েছে। স্বাদ আর গন্ধের দিক থেকে ভারতীয় খাবার যে সেরা একথা আগেই প্রমাণিত। অধিকাংশ ভারতীয় বাড়িতেই তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া হয়। রোজকার মাছের ঝোল হোক বা ডিমের কারি মশলা ছাড়া রান্নায় স্বাদ আছে না। এছাড়াও বিরিয়ানি, পোলাও, চাঁপ, চিলি চিকেন, ইলিশ ভাপা, মালাইকারি এসব খাওয়া লেগেই থাকে। এবার নিয়মিত ভুরিভোজ খেলে শরীরের সমস্যা হবেই। বিশেষজ্ঞরা সব সময় হালকা খাবার খাওয়ার কথা বললেও ভোজন রসিক বাঙালি সিদ্ধ খাবারে নিজের জিভকে এখনও অভ্যস্ত করে নিতে পারেনি। আর তাই দুপুরে ভালমন্ড খাওয়ার পর বিকেলে চপ-শিঙাড়ার লোভ ত্যাগ করতে পারেন না অনেকেই। এই খেয়েই কিন্তু হয় বিপত্তি। পাকস্থলিরও নির্দিষ্ট একটা হজম ক্ষমতা রয়েছে। সকালের কচুরি-জিলিপি-দুধ চা দিয়ে শুরু করে যদি সারাদিন ধরে এমন খাই-খাই চলতে থাকে তাহলে গ্যাস-অম্বল অবধারিত। বিশেষত এই গরমের দিনে।

গরমের দিনে এমনিই হজম ক্ষমতা কমে যায়। আবহাওয়ার কারণেই এই সময় হালকা খাবার খেতে বলা হয়। জল, স্যুপ, লস্যি, ডাবের জল এসব বেশি খেতে বলা হয়। তবে গরমের দিনে কোথাও নিমন্ত্রণ থাকলে সবচেয়ে বেশি অসুবিধে হয়। সেখানে তো আর হালকা মেনু থাকে না। চোখের সামনে হরেক খাবার দেখে বেশিরভাগই লোভ সংবরণ করতে পারে না। এই খিদে মেটাতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়ে যায়। সব সময় যে হাতের সামনে অ্যান্টাসিড থাকে এমন নয়। এছাড়াও মুঠো, মুঠো অ্যান্টাসিড মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। বরং কাজে লাগান হাতের সামনে রাখা এই সব ঘরোয়া খাবারকেই।

গরম জল- খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়া হয়ে গেলে তার একটু পর একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল কান। প্রয়োজনে দু-গ্লাসও জল খেতে পারেন। এতে হজম ভাল হবে। অতিরিক্ত তেল পাকস্থলি শোষণ করতে পারবে না। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কিন্তু কমবে। আর হজমও হবে দ্রুত। তাই বিরিয়ানি খেয়ে কোল্ডড্রিংক নয়, চুমুক দিন একগ্লাস গরম জলে।

গ্রিন টি খান- কোনও ভারী খাবার খাওয়ার পরে এক কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি-এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রিন টি শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। অন্ত্রকেও ভাল রাখে। তাই খাবার খেয়ে গ্রিন টি খান চিনি বা মধু ছাড়া।

টক দই- মাংস, ভাত, মালাইকারি খাওয়ার পর একবাটি টকদই খান। সেই টকদইয়ের উপর ছড়িয়ে দিন ভেজে গুঁড়ো করা জিরে। স্বাদমতো নুন দিন। এই দই যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই কিন্তু মেদ ঝরাতেও খুব ভাল। রোজ এই দই খাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাবেন।

জওয়ান- রিচ খাবার খাওয়া হলে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে এক চামচ জওয়ান চিবিয়ে খান। এতে হজমের সমস্যা দূর হয়। হজম ভাল হয়। শরীরেও বিশেষ কোনও অসুবিধে হয় না। আর তাই ভরপেট খাওয়ার পর জোয়ান খেতেই পারেন। এতে শরীরেরই উপকার হয়।