AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Protein Deficiency: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে কী-কী লক্ষণ দেখা যাবে এবং কী উপায়ে ঘাটতি মেটাবেন?

Protein Benefits: পেশি গঠন থেকে নখ, চুল, ত্বক ঠিক রাখতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বোঝা যাবে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে কি না।

Protein Deficiency: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে কী-কী লক্ষণ দেখা যাবে এবং কী উপায়ে ঘাটতি মেটাবেন?
সাধারণত প্রচণ্ড গরমে বা বর্ষায় চুল ওঠে। সাধারণত ঘামে বা বৃষ্টির জলে চুল ভিজে যাওয়ার জন্য চুল বেশি ওঠে। তবে এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে বিষয়টি অবহেলা করবেন নাImage Credit: istock
| Updated on: Mar 27, 2024 | 4:49 PM
Share

শরীর সুস্থ ও ফিট রাখতে ভিটামিন, মিনারেলসের পাশাপাশি প্রয়োজন প্রোটিন। পেশি গঠন থেকে নখ, চুল, ত্বক ঠিক রাখতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখা জরুরি। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বোঝা যাবে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে কি না।

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে কীভাবে বুঝবেন?

চুল, ত্বক, নখ: বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে যদি অতিরিক্ত চুল ঝরতে শুরু করে, চুল পাতলা হয়ে যায়, চুলের ডগা ফেটে যায় এবং কম বয়সেই চুল বিবর্ণ হতে শুরু করে, তাহলে বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। নখের উপরের অংশ খসখসে হয়ে পড়ে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে নখের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। আবার শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে ত্বক ফাটতে শুরু করে, সবসময় ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে থাকে এবং কোনও কারণ ছাড়া ত্বকে লালচে দাগ, কালো ছোপ দেখা দেয় বা ব়্যাশ বেরোয়, তাহলে বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে।

পেশিতে সমস্যা ও ভঙ্গুর হাড়: পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় প্রোটিন। তাই পেশিতে ব্যথা, ক্র্যাম্প বা অন্যান্য সমস্যা এবং সবসময় ক্লান্তি, দুর্বলভাব প্রোটিনের ঘাটতির উপসর্গ। এছাড়া প্রোটিনের অভাবে হাড়ও দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

এডিমা ও ফ্যাটি লিভার: প্রোটিন সারা শরীরে ফ্লুইড সরবরাহ করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি শরীরে ঠিকমতো ফ্লুইড সরবরাহ হয় না। যার প্রভাব হাড়েও পড়ে এছাড়া পায়ের পাতায় ফ্লুইড জমা হয়। ফলে পায়ের পাতা ফুলে যায়, ব্যথা হয়, যাকে এডিমা বলে। এছাড়া ফ্যাটি লিভারেরও অন্যতম কারণ প্রোটিনের ঘাটতি।

বারবার ক্ষিধে পাওয়া ও ওজন বৃদ্ধি: শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকলে পেটও ভর্তি থাকে। কিন্তু, প্রোটিনের ঘাটতি হলে বারবার ক্ষিধে পায়। আর প্রোটিনের বদলে ক্যালোরি জাতীয় খাবার বারবার খাওয়ার ফলে দেহের ওজন বাড়তে পারে।

শিশুদের বিকাশে বাধা: পেশি, হাড়, নখ, চুল গঠন থেকে শুরু করে শিশুদের বাড়বাড়ন্ত এবং মস্তিষ্কের বিকাশে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রোটিনের অভাব হলে শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং মস্তিষ্কের বিকাশও ঠিকমতো হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। ফলে সহজেই ফ্লু ও ব্যাকটেরিয়া জাতীয় নানা সমস্যায় সংক্রামিত হয়।

প্রতিকার:

বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য থেকেই পর্যাপ্ত প্রোটিন যায়। দুধ ও দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, দই, মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, ওটস, ডালিয়া আমন্ড-সহ বিভিন্ন বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখী বীজ, তিসির বীজের মতো দানা শস্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া পালং শাক, ব্রকোলি, মটরশুঁটির মতো বেশ কিছু সবজিতেও যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই এগুলি শিশু বয়স থেকেই ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তবে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বয়স ও দেহের উচ্চতা, ওজন অনুযায়ী প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।