Dehydration: বাচ্চার মুখ-চোখ ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে? আপনার সন্তানের শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে না তো!

Dehydration in Children: শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মারাত্মক রূপ ধারণা করতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা-মাকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।

Dehydration: বাচ্চার মুখ-চোখ ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে? আপনার সন্তানের শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে না তো!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2022 | 2:53 PM

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমে এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। আসলে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা শরীর থেকে ঘাম বের করে দেয়। কিন্তু গরম ছাড়াও নানা কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত, বমি, ডায়ারিয়া হলে শরীর জলশূন্যতার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। কিন্তু শরীরে ডিহাইড্রেশন হলে তা বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলো সাধারণত আমরা বুঝতে পারি এবং সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্যের যত্ন নিই। কিন্তু যখনই প্রশ্ন আসে বাড়ির খুদের, তখন আরও বেশি সচেতন থাকতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মারাত্মক রূপ ধারণা করতে পারে।

বাচ্চাদের মধ্যেও ডিজাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। বাচ্চাদের মধ্যে মূলত তিন ধরনের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হলে, শরীরে জলের ঘাটতি হলে এবং জল ও ইলেকট্রোলাইট, দুইয়ের ঘাটতি হলে বাচ্চাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি হয়। সাধারণত পেটের সংক্রমণ হলে ডায়ারিয়া এবং বমির কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু মা-বাবা হিসেবে আপনাকেই শিশুর মধ্যে ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

আপনার শিশু যদি ডায়ারিয়ার সমস্যায় ভোগে তাহলে জানবেন তার শরীর জলশূন্য হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই সময় শিশুর মুখের দিকে খেয়াল রাখুন। শিশুর শরীরে জল বা ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশের অংশ শুকিয়ে যায়। তাই এ দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। শিশুর কান্নার সময় যদি চোখ দিয়ে জল না বেরোয় জানবেন আপনার সন্তান ডিহাইড্রেশনে ভুগছে। এটা ডিহাইড্রেশনের একটা বড় লক্ষণ।

শিশুর শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি হলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। বাচ্চা যদি দু-তিন ঘণ্টা অন্তর প্রস্রাব না করে বুঝবেন তার শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রস্রাবের রঙও হলুদ হয়ে যায়। তাই এই দিকে নজর রাখুন। বমি হচ্ছে, ডায়ারিয়া হয়ে গিয়েছে—এসব ক্ষেত্রে দেখবেন শিশু ঝিমিয়ে পড়েছে। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে শরীরে ক্লান্তি আসে। এতে বাচ্চার মধ্যে খেলার প্রবণতা কমে যায়। বাচ্চা নেতিয়ে থাকে, ঘুমোতে চায়। পাশাপাশি বাচ্চা সারাক্ষণ ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে, কান্নাকাটি করে। সন্তানের মধ্যে এই সব লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাবেন না।

শিশুর মধ্যে এ সব লক্ষণগুলো দেখতে দ্রুত সতর্ক হন। শিশু যাতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করে সে দিকে নজর দিন। আর যদি ডায়ারিয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওআরএস-এর জল পান করাতে পারেন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে গেলে তাকে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জল পান করাতে হয়। বাচ্চা যে মাত্রায় জল খাচ্ছে তার বেশি পরিমাণ জল যদি শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাচ্চাকে স্যালাইন দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে।