Ulcerative Colitis: পেট ফাঁপা মানেই গ্যাস নয় হতে পারে আলসারেটিভ কোলাইটিসও, যে সব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন
Health Tips: অনেক ক্ষেত্রে প্রদাহের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তাই প্রথম থেকেই পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা বা মলত্যাগের সমস্যা হলে এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার সমস্যা মানেই সব সময় যে গ্যাস-অম্বল হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। আলসারেটিভ কোলাইটিসেরও প্রাথমিক লক্ষণ হল এই পেট ফাঁপা। কোলাইটিস মূলত হল অন্ত্রের সংক্রমণ। দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি যদি লেগে থাকে সেখান থেকেই কোলনে সংক্রমণজনিত জটিলতা তৈরি হয়। সেখান থেকে মলদ্বারে ব্যথা, মলদ্বারের অভ্যন্তরীণ আস্তরনকেও প্রভাবিত করে। যেখান থেকে মলত্যাগে সমস্যা হয়। আলসারেটিভ কোলাইটিস সম্পূর্ণ ভাবে সেরে যায় এরকম কিন্তু একেবারেই নয়। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে প্রদাহের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তাই প্রথম থেকেই পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা বা মলত্যাগের সমস্যা হলে এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে এই আলসারের যে সব লক্ষণ অবশ্যই জেনে রাখবেন-
প্রায়শই ডায়ারিয়ার সমস্যা মলের সঙ্গে রক্তপাত পেট ব্যথা এবং পেটে ক্র্যাম্পের সমস্যা মলদ্বারে ব্যথা ঘন ঘন মলত্যাগ মলত্যাগে সমস্যা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া ক্লান্তি জ্বর
এই সমস্যায় যদি ভুক্তভোগী হন তাহলে যা কিছু অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন-
বিনস- বিনস, মটরশুঁটি এবং মটরশুঁটির বীজ অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। এই সব খাবারের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তবে কোলাইটিসের সমস্যা হলে অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন এই সব খাবার।
কফি এবং চা নয়- অন্ত্রে প্রদাহ জনিত সমস্যা হলে পেটের অসুখ, ডায়ারিয়া এসব লেগেই থাকে। তাই ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যতসম্ভব কম খান। এতে মলত্যাগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে সমস্যাও জটিল হয়।
ব্রকোলি– যে সব খাবারের মধ্যে ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে ব্রকোলি, স্প্রাউটস, বাঁধাকপি, ধনেপাতা এসব একেবারেই খাবেন না। কারণ তা হজম হতেও অনেক বেশি সময় লেগে যায়। কোলাইটিসের সমস্যা থাকলে এই সব খাবার থেকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে।
বীজ- সুস্থ থাকতে আজকাল বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে কোনও বীজই স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ এসব কোলাইটিস থাকলে একেবারেই এড়িয়ে যান।
মাশরুম- অন্ত্রে সমস্যা হলে মাশরুম এড়িয়ে যান। কারণ মাশরুম হজম হতে অনেক সময় লেগে যায়। এই রোগে ডাক্তাররা এমন কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন যা সহজে হজম হয়ে যায়।
অ্যালকোহল নয়- অন্ত্রে কোনও রকম সমস্যা হলে অ্যালকোহল একেবারেই নয়। কারণ অ্যালকোহল অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে দেয়। এখান থেকে ডায়ারিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।