Diwali Health Tips: কোলেস্টেরল হাই? দীপাবলিতে যে সব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন…
BAD Cholesterol: দিওয়ালিতে বাড়িতে বানানো বেশিরভাগ মিষ্টিরই প্রধান উপকরণ হল ময়দা, চিনি, তেল। এই তিন উপকরণই শরীরের জন্য কিন্তু মোটেই ভাল নয়
আর মাত্র কয়েকদিন পরই আলোর উৎসব। আর এই উৎসবের আনন্দ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে তবেই না তার স্বার্থকতা। দীপাবলিতে আলোর মালায় সেজে ওঠে চারিদিক। বাড়িতে বাড়িতে চলে মিষ্টি পার্বণ। এছাড়াও প্রিয়জনদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি, উপহার আদান-প্রদান এসবও থাকে। উৎসব মানেই বাড়ির সব আত্মীয়দের একত্রিত হওয়ার পালা। ফলে খাওয়া-দাওয়া, জমাটি আড্ডা এসব তো হবেই। দিওয়ালিতে বাড়িতে বানানো বেশিরভাগ মিষ্টিরই প্রধান উপকরণ হল ময়দা, চিনি, তেল। এই তিন উপকরণই শরীরের জন্য কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এই সব খাবারে শুধু কোলেস্টেরলই যে বাড়ে তা নয় সেই সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
কোলেস্টেরল হল মোমজাতীয় পদার্থ যা রক্তেই পাওয়া যায়। যদিও রক্তে ভাল আর খারাপ কোলেস্টেরল এই দুই থাকে। কিন্তু যদি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে তাহলেই বিপদ। কারণ তা রক্তে জমতে শুরু করে। মোমজাতীয় এই পদার্থ রক্তনালীতে জমা হয়ে তা ব্লক করে দেয়। ফলে শরীরে রক্তপ্রবাহ ধীর হয়েযায়। যার কারণে বাড়ে রক্তচাপের মত সমস্যা। রক্তপ্রবাহে বাধা পেলেই বাড়ে হৃদরোগের সম্ভাবনাও। সেই সঙ্গে বাড়ে হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকিও। আর তাই উৎসবের মরশুমে সুস্থ থাকতে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন।
ডিম খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে ডিম খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ে। যে কোনও সুস্বাদু খাবারের মধ্যে ডিম থাকেই। কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ বানাতে ডিম লাগেই। আর তাই দীপাবলিতে ডিমের যে কোনও পদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
যাঁরা নিরামিষ খান তাঁরা অধিকাংশই পনির খেতে পছন্দ করেন। দীপাবলিতে পনিরের নানা পদও বেশি রান্না হয়। তবে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের পনির এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত ভাবে ৮০ গ্রাম পনির খান তাঁদের কোলেস্টেরল অবধারিত ভাবে বাড়ে।
টকদই ভাল তবে লোভে পড়ে লাল মিষ্টি দই একেবারেই নয়। এর মধ্যে থাকে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম। থাকে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মত পুষ্টি। তবে এক কাপ মিষ্টি দইতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। তাই দই এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল।
অনুষ্ঠান মানে ভাজা খাবার তো থাকবেই। দীপাবলির সময় চপ, নিমকি, ঝুরিভাজা, নানা রকম খাস্তা আইটেম বেশি খাওয়া হয়। এইসব খাবার হল অ্যাসিডের আঁতুড়ঘর। তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই সবচাইতে ভাল।
ফাস্টফুড, মিষ্টি, কেক, কুকিজ এসব একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। লোভে পড়ে খেলেও সীমার মধ্যে তা রাখুন। মিষ্টি একদিনে ২ টোর বেশি একেবারেই নয়। পেস্ট্রিও এড়িয়েই চলুন।