Parijat Leaves: ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠছে শরীরের তাপমাত্রা? ঘরোয়া এই টোটকায় জ্বর নামবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে
seasonal influenza: জ্বর আর কাশির জন্য খুব উপকারী হল শিউলি গাছের পাতা। এছাড়াও কৃমির সমস্যা থাকলে এবং ডায়াবেটিসেও এই পাতা উপকারী
প্রতি বছর বর্ষাতেই বাড়ে একাধিক রোগ সমস্যা। আর সেই তালিকায় রয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটখারাপ। চলতি বছরে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনায় কম। গত কয়েকদিন নিম্নচাপের কারণে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অনেক জায়গাতেই। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে লেগে রয়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি। ভাইরাল ফিভারে এখন কাবু অর্ধেক রাজ্যবাসী। তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত থাকছে জ্বর, সর্দি, কাশি, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা। ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি থাকছে তাপমাত্রা। কখনও তা ১০৪ ডিগ্রিতেও গিয়ে ঠেকছে। প্যারাসিটামলের ডাবল ডোজেও কমছে না জ্বর। তখন মাথায় জলপট্টি দিতে হচ্ছে।
অনেককে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে। রক্তপরীক্ষাতেও ধরা পড়ছেনা ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়া। কিংবা কোভিডও। নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে তাই ধন্দে চিকিৎসকেরাও। জ্বর কেটে গেলেও যাচ্ছে না কাশি, ক্লান্তি আর মাথাব্যথা। তা বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত ভোগাচ্ছে। যদিও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা সেই সঙ্গে একবার মেনে চলতে পারেন এই ঘরোয়া টোটকাও।
জ্বর হলেই নিয়ম করে বিশ্রাম আর প্রচুর পরিমাণে জল খান। অধিকাংশেরই মুখে কোনও রুচি থাকছে না। যে কোনও খাবারই তেতো লাগছে। ফলে খাবার ইচ্ছে একেবারেই চলে গিয়েছে। কেউ কেউ কোনও খাবারই খেতে পারছেন না। এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন শিউলি পাতাকে। শিউলির রয়েছে একাধিক গুণ। যে কারণে একে স্বর্গের পারিজাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আর কদিন পরই গাছে থাকবে শিউলি ফুলের মেলা। শিউলি ফুল আমাদের মন মুহূর্তের মধ্যে ভাল করে দেয়। গাছে শিউলি ফোটা মানেই পুজোর গন্ধ এসে যায়।
রোজ সকালে উঠে তুলসি পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিয়ে চিবিয়ে খান। রসটুকু খেয়ে বাকিটা ফেলে দিন। সর্দি-কাশি আর কফে এর থেকে ভাল ওষুধ আর হয় না। এছাড়াও যদি ওষুধে জ্বর না নামে কিংবা হাই ফিভার থাকে তাহলেও তুলসি পাতা থেঁতো করে ওর সঙ্গে মধু আর গোলমরিচ মিশিয়ে খান। এতে জ্বর নামবে তাড়াতাড়ি। কমবে কফ-সর্দিও। কাশির দমকও আসবে না।
এছাড়াও যে সব উপকারিতা পাবেন এই গাছের পাতা থেকে-
যে কোনও ব্যথা কমাতেও উপকারী এই পাতা। শিউলি পাতা আর তুলসি পাতা একসঙ্গে নিয়ে জলে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে প্রতিদিন ১ চামচ করে সকাল ও সন্ধ্যে নিয়মিত খান। এতে বাতের ব্যথা দূর হয় তাড়াতাড়ি।
শিউলি আর তুলসির পাতা ফোটানো জল ছেঁকে নিয়েও খেতে পারেন। সাইটিকা, আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য ভীষণ রকম উপকারী।
ম্যালেরিয়ার সময় শিউলি পাতা বেটে খেলে রোগের উপসর্গগুলো কমতে শুরু করে। ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইটগুলো নষ্ট হয়, রক্তে প্লেটিলেটের সংখ্যা বাড়ে। এছাড়াও শরীরে বাড়ে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা।
ব্রণ দূর করতেও ভীষণ রকম উপকারী এই পাতা। শিউলি পাতার রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ। যা আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ রকম উপকারী। শিউলির তেল নিয়ম করে চুলে লাগাতে পারলেও কিন্তু নতুন চুল গজায়।