Kerala: তরুণীর অন্তর্বাসে হলুদ রঙের পেস্টের মতো এগুলো কী? অবাক পুলিশ
Kerala girl arrested with gold hidden in inner wear: তরুণীর শরীর স্ক্যান করতেই ধরা পড়েছিল অন্তর্বাসের মধ্যে হলুদ পেস্টের মতো কিছু একটা।
কোঝিকোড়: বোকা বনে গিয়েছিলেন বিমান বন্দরের নিরাপত্তা কর্তারা। বিমান বন্দরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধোকা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ১৯ বছরের তরুণীটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরের বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন কেরল পুলিশের কর্তারা। তাদের হাতেই ধরা পড়ে গিয়েছেন ওই তরুণী। আর তাঁর অন্তর্বাস থেকে বেরিয়েছে লুকিয়ে রাখা ১ কোটি টাকার সোনা! এরপরই সোনা চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণীকে।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত তরুণীর নাম সেহলা। তিনি কেরলের কাসারগড় জেলার বাসিন্দা। সোমবার দুবাই থেকে কোঝিকোড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন তিনি। তাঁর কাছে যে সোনা আছে, তা ধরতে পারেননি কাস্টমস বিভাগের কর্তারা। তবে বিমান বন্দরের বাইরেই তক্কে তক্কে ছিলেন মলপ্পুরমের পুলিশ সুপার সুচিত দাসের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল। সোনা চোরাচালানের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল তাঁদের কাছে। সেহলা বিমানবন্দরের বাইরে আসার পরই, তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ধরা পড়ার পরও, সেহলা অবশ্য প্রথমে তাঁর কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। পুলিশ তার মালপত্র পরীক্ষা করেছিল। কিন্তু, সোনা মেলেনি। এরপরও অবশ্য হাল ছাড়েনি কেরল পুলিশ। এরপর তাঁর দেহ পরীক্ষা করা হয়। স্ক্যান করতে গিয়ে দেখা যায়, অন্তর্বাসের মধ্যে তিনটি প্যাকেটে পেস্টের আকারে প্রায় ১,৮৮৪ গ্রাম সোনা লুকানো আছে, যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমবার সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিলেন সেহলা। গত সপ্তাহে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে এক বন্ধু তাঁকে ওই সোনা পাচারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সোনা পাচারের জন্য তাঁকে ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে সবচেয়ে বেশি সোনা চোরাচালান করা হয় কেরলেই। কেরলের চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জুড়ে নিয়মিত সোনা পাচার চলে। চলতি মাসের শুরুতে, অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৩,০৮৩ কেজি পাচার হওয়া সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক সোনা উদ্ধার করা হয়েছে কেরল থেকেই। চলতি বছরে এই দক্ষিণী রাজ্য থেকে উদ্ধার হওয়া পাচার হওয়া সোনার পরিমাণ ছিল ৬৯০ কেজি। এছাড়া, মহারাষ্ট্র থেকে ৪৭৪ কেজি, তামিলনাড়ু থেকে ৪৪০ কেজি এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৬৯ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।