Allahabad High Court: জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিলে জমা করতে হবে ৫ লাখ টাকা, মাদক পাচারকারীকে জামিনের অভিনব শর্ত হাইকোর্টের

Army Battle Causality Welfare fund: অভিযুক্ত রজনীশ কুমার গুপ্তাকে জামিন দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা আর্মি ব্যাটল ক্যাসুয়ালিটি ওয়েলফেয়ার ফান্ডে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

Allahabad High Court: জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিলে জমা করতে হবে ৫ লাখ টাকা, মাদক পাচারকারীকে জামিনের অভিনব শর্ত হাইকোর্টের
এলাহাবাদ হাই কোর্টের তরফে জামিনের জন্য কী শর্ত দেওয়া হল?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 10:11 PM

এলাহাবাদ : মাদক পাচারকারীকে জামিন দিতে এক অভিনব শর্ত দিল আদালত। এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) এক মাদক পাচার মামলার শুনানি চলছিল। ওই মামলায় অভিযুক্ত রজনীশ কুমার গুপ্তাকে জামিন দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা আর্মি ব্যাটল ক্যাসুয়ালিটি ওয়েলফেয়ার ফান্ডে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে এই টাকা জমা করতে হবে এবং তার রশিদ ট্রায়াল কোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (NDPS) আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছিল রজনীশ কুমার গুপ্তা নামক ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে।

কী অভিযোগ রয়েছে রজনীশের বিরুদ্ধে?

জামিনের আবেদনের শুনানি চলছি এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার সিংয়ের বেঞ্চে। বিচারপতি অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন বটে, তবে তার জন্য অভিযুক্ত রজনীশ কুমার গুপ্তাকে ৫ লাখ টাকা আর্মি ব্যাটল ক্যাসুয়ালিটি ওয়েলফেয়ার ফান্ডে জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর লখনউয়ের তরফে অভিযুক্ত রজনীশের ট্রাক থেকে ১৩.৮ কেজি আফিম উদ্ধার করেছিল। সেই উদ্ধার হওয়া মাদকের ভিত্তিতেই, তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ধারায় মামলা করা হয়েছিল।

পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবেই জামিন

অভিযোগ, ট্রাকটি ঝাড়খণ্ডের লাতেহার থেকে বেরেলি হয়ে লখনউের দিকে আসছিল। ট্রাকটি চালাচ্ছিল, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত কউশর হোসেন। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় মামলা রয়েছে। কউশরের বয়ান অনুযায়ী, গুপ্তাই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত। সেই আফিম আনতে ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে ট্রাক পাঠিয়েছিলেন। এনসিবি-র পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, জামিনের আবেদনকারী রজনীশ এবং তার সহ-অভিযুক্তের কল রেকর্ডের বিবরণ থেকে দেখা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের যার কাছ থেকে আফিম সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের অবিরাম যোগাযোগ ছিল।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত রজনীশের যুক্তি, তার কোনও অপরাধমূলক কাজের ইতিহাস নেই। সে ২০২০ সালের জুলাই থেকে জেলে বন্দী রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বক্তব্য ছিল, সহ-অভিযুক্তের বয়ান ছাড়া, তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও প্রমাণ নেই। এই পরিস্থিতিতে আদালত অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার উপযুক্ত বলে মনে করেছে।

আরও পড়ুন : Diamond Harbour Model: নমুনা পরীক্ষায় লম্বা লাফ! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেলে’ মান্যতা স্বাস্থ্য ভবনের?