Andhra Pradesh: এক মাসে ১,০১,৫৬,১১৬ টাকা বিদ্যুতের বিল!!!

Andhra Pradesh electricity bill: একক..দশক..শতক..হাজার..লক্ষ....কোটি! হ্যাঁ, লক্ষেও থামেনি, একেবারে কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে বিদ্যুতের বিল! এটা কোনও কল্পকাহিনি নয়, সত্য ঘটনা। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার এক ছোট গয়নার দোকানে চলতি মাসে এক কোটি টাকার বেশি বিদ্যুতের বিল এসেছে।

Andhra Pradesh: এক মাসে ১,০১,৫৬,১১৬ টাকা বিদ্যুতের বিল!!!
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2023 | 9:41 PM

হায়দরাবাদ: ছোট গয়নার দোকান। মাসে কতই বা বিদ্যুতের বিল আসতে পারে? এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। যদি খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ করা হয়, তাহলেও বিদ্যুতের বিল কত হবে? ১০ হাজার কিংবা ২০ হাজার টাকা। তার বেশি তো নয়। প্রতি মাসেই বিদ্যুতের বিলের রিডিং নেয় বিদ্যুত বিভাগের কর্মীরা। চলতি অক্টোবর মাসেও নিয়েছিল। গয়নার দোকানের মালিককে তা দিয়েছিল। মালিক, খুব একটা পাত্তা দেননি। প্রতি মাসের মত বিলটি হাতে নিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে রেখে দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিলের দিকে একবার তাকিয়েই, বিলটি ভাল করে দেখতে বাধ্য হন তিনি। কয় অঙ্কের বিল এসেছে? ১..২..৩..৪..গুনতে গুনতে দিশেহারা হয়ে যাওয়ার দশা। সাধারণ যে বিলের পরিমাণ থাকে হাজারের ঘরে, তাই কি এবার এসেছে লাখে? একক, দশক, শতক, হাজার, লক্ষ, কোটি – আবার একবার বিলটি দেখেছিলেন গয়নার দোকানের মালিক। হ্যাঁ, লক্ষেও থামেনি, একেবারে কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে বিদ্যুতের বিল! এটা কোনও কল্পকাহিনি নয়, সত্য ঘটনা। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার এক ছোট গয়নার দোকানে চলতি মাসে এক কোটি টাকার বেশি র বিদ্যুতের বিল এসেছে।

শ্রীকাকুলাম জেলার কোথুর শহরের পালাকোন্ডা রোডে, দুর্গা জুয়েলার্স নামে একটি ছোট গয়নার দোকান চালান জি. অশোক। সোমবার (২ অক্টোবর), তাঁর দোকানে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা এসে দোকানের বিদ্যুতের বিলের রিডিং নিয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুতের জন্য বিল হয়েছে ১,০১,৫৬,১১৬ টাকা! জি. অশোকের হাতে বিদ্যুতকর্মীরা এই বিল ধরানোর পর, তাঁর তো মাথায় হাত। কীকরে এত বেশি বিল এল, সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতকর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। কর্মীরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তাঁকে বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

তাই, এখন এই এক কোটি টাকার বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাদের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জি. অশোক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের দোকানে প্রতি মাসে গড়ে ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা বিল আসে। বিলের বিষয়ে ইতিমধ্যেই তিনি বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে গিয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে নতুন বিল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ এসেছে অন্ধ্র বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে। কর্মকর্তাদের দাবি, কিছু প্রযুক্তিগত কারণে বিলের রিডিং-এ এই ব্যাপক পরিবর্তন হয়।