Uttarakhand Murder Case: ‘আমাকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’, মৃত্যুর আগে বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিলেন অঙ্কিতা

Ankita Bhandari murder case: হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পুলিশের অনুমান, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অঙ্কিতাকে রিসর্টের অতিথিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়েছিল।

Uttarakhand Murder Case: 'আমাকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে', মৃত্যুর আগে বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছিলেন অঙ্কিতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 10:42 AM

উত্তরাখণ্ড : রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভান্ডারী খুনের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। তাঁকে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ সামনে আসছিল, সেটাই আরও স্পষ্ট হল তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে। পুলিশ জানতে পেরেছে, অঙ্কিতা তাঁর এক বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিলেন সে কথা। তিনি বন্ধুকে বলেছিলেন, তাঁকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ক্রমশ।

তাঁর পাঠানো একটি মেসেজে লেখা রয়েছে, ওরা আমাকে দেহ ব্যবসার পথে ঠেলে দিচ্ছে। রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তাঁর ঠিক কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁর বন্ধুকে সেই বর্ণনাও দিয়েছিলেন তরুণি। তাঁর পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট সামনে এসেছে। সেখানে অঙ্কিতা লিখছেন, ১০ হাজার টাকার জন্য তাঁকে বলা হয়েছে রিসর্টের অতিথিদের ‘বিশেষ পরিষেবা’ দিতে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ওই মেসেজ অঙ্কিতারই পাঠানো। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অঙ্কিতা তাঁর বন্ধুকে আরও বলেছিলেন, তাঁকে এক ব্যক্তি স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন। তিনি মদ্যপ ছিলেন। এ ছাড়া একটি ভয়েস কলের রেকর্ডও ভাইরাল হয়েছে। অঙ্কিতার বন্ধু দাবি করেছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮ টার পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি অঙ্কিতাকে। বারাবর চেষ্টা করে না পেয়ে অবশেষে রিসর্টের মালিককে ফোন করেন কিনি। মালিক জানান, অঙ্কিতা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।

পরের দিন ফের রিসর্টের মালিক পুলকিত আর্যকে ফোন করেন অঙ্কিতার বন্ধু। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। এরপর রিসর্টের ম্যানেজার অঙ্কিতকে ফোন করেন অঙ্কিতার ওই বন্ধু। তিনি ফোন তুলে জানান, জিমে রয়েছেন অঙ্কিতা। রিসর্টের রাঁধুনিকে ফোন করে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, সারা দিন অঙ্কিতাকে রিসর্টে দেখতে পাননি তিনি।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জলে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অঙ্কিতা ভণ্ডারীর। অঙ্কিতার দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। মনে করা হচ্ছে, মৃত্যুর আগে অঙ্কিতাকে আঘাত করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে যমকেশ্বর ব্লকের একটি রিসর্টে কাজ করতেন ১৯ বছর বয়সি অঙ্কিতা।