CAG investigation against Kejriwal: বাংলো সংস্কারের খরচ নিয়ে ‘ক্যাগে’র তদন্তের মুখে কেজরীবাল
CAG investigation against Kejriwal: বিজেপির গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কারের জন্য পিডব্লুডি দফতরের পক্ষ থেকে প্রথমে ৭.৬২ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। পরে কেজরীবালের নির্দেশে বাংলোর অন্দরসজ্জার জন্য খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.২০ কোটি টাকা!
নয়া দিল্লি: দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অব্যাহত। মঙ্গলবার (২৭ জুন), এই দ্বন্দ্বের নতুন পর্ব শুরু হল বলা যেতে পারে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল দেশের সবথেকে বড় অডিট সংস্থা ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’, বা ক্যাগ (CAG)-কে। কেজরীবালের বাংলো সংস্কারের খরচ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে চর্চা চলছে। তারই মধ্যে ২৪ মার্চ, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে একটি চিঠি দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। ওই চিঠির ভিত্তিতেই এদিন ক্যাগ-কে অডিটের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কেজরীবালের বাংলো সংস্কারের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগটি তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কারের জন্য পিডব্লুডি দফতরের পক্ষ থেকে প্রথমে ৭.৬২ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। পরে কেজরীবালের নির্দেশে বাংলোর অন্দরসজ্জার জন্য খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.২০ কোটি টাকা! এর জন্য কোনও সরকারি অনুমোদনও দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছিল বিজেপি। এর পাশাপাশি, দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি অভিযোগ করেন, বাংলোর পর্দার পিছনেই সরকারি কোষাগারের ১.৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন কেজরীবাল।
এক সপ্তাহ আগেই এই বিষয়ে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের ৭ ইঞ্জিনিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লির ভিজিল্যান্স দফতর। এই ইঞ্জিনিয়াররা মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো সংস্কারের পরিকল্পনা ও রূপায়নের দায়িত্বে ছিলেন। নোটিসে বলা হয়, তাঁরা সিপিডব্লুডি বিভাগের নিয়ম এবং কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্গঠনের ছলে তাঁরা একটি নয়া ভবন তৈরি করেছেন। আর এই কাজ করতে গিয়ে একাধিক ত্রুটি এবং অনিয়ম করেছেন। ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারা আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজন অনুসারে অভ্যন্তরীণ সজ্জা পরিবর্তনের ফলে কাজের পরিমাণ বেড়েছে এবং প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। আরও বলা হয়, কোনও সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি না করেই পুরনো বাংলোটির কাঠামো ভেঙে ফেলে পিডব্লিউডি। তারপর, পরিকল্পনার অনুমোদন ছাড়াই নতুন ভবন নির্মাণ করেছে। এবার ক্যাগের তদন্তে কী তথ্য উঠে আসে, সেটাই দেখার।