AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Essential Commodities Price Hike: রাতারাতি বাজার থেকে ‘উধাও’ হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য? নজর রাখতে বাজারে ঘুরবে কেন্দ্রীয় দল

Centre's Committee on Essential Commodities Price Hike: দেশে রান্নার তেল বা ভোজ্য তেলের যে চাহিদা রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে গত সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ার তরফে পাম তেলের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Essential Commodities Price Hike: রাতারাতি বাজার থেকে 'উধাও' হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য? নজর রাখতে বাজারে ঘুরবে কেন্দ্রীয় দল
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 1:26 PM
Share

নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধির জেরে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। ক্রমাগত দাম বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। বিশেষত ভোজ্য তেলের (Edible Oil) দাম বাড়ছে হু হু করে। শাক-সবজির বাজারেও প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধির। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়তেই এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি (Inter-Ministerial Committee) গঠন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই কমিটি বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও মূল্যবৃদ্ধির উপরে নজরে রাখবে। বিশেষ করে বাজারে ভোজ্য তেল উপলব্ধ কিনা বা তার কত দাম নেওয়া হচ্ছে, তার উপরে নজর রাখবে এই কমিটি।

দেশে রান্নার তেল বা ভোজ্য তেলের যে চাহিদা রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে গত সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়ার তরফে পাম তেলের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর জেরে আগামিদিনে ভোজ্যতেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল সরবরাহক। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে এমনিতেই বাজারে তেলের সরবরাহ আটকে গিয়েছে। এর উপরে ইন্দোনেশিয়া ভোজ্য তেলের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করায়, বাজারে আরও সঙ্কট দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী,  এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন  কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে। গত সপ্তাহে তিনি দেশের তৈল প্রক্রিয়াকরণ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেল কতটা উপলব্ধ, তা খতিয়ে দেখেছেন। খাদ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সবধরনের ভোজ্য তেল মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ২১ লক্ষ টন তেল মজুত রয়েছে। এই তেল মে মাসের চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়া চলতি মাসেই ১৫ লক্ষ টন তেল আমদানি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতি বছর ভারত প্রায় ৮০ লক্ষ টন আমদানি করা হয়। মার্চ মাসে খুচরো পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯৫ শতাংশে, যা ১৭ মাসে সর্বোচ্চ হার। এর জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে।  সবথেকে বেশি জাম বেড়েছে পাম তেলেরই, কারণ আইসক্রিম থেকে শুরু করে বিস্কুট, সাবান সবকিছুতেই পাম তেল ব্যবহার করা হয়।

রবিবার খাদ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভোজ্য় তেলের দামের উপরে কেন্দ্র কড়া নজর রাখছে। দামের ওঠা-নামার রেকর্ড রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহেই ভোজ্য তেল সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড করা হবে।