Voting Reforms: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড় সংস্কারের পথে কেন্দ্র, এবার আধার-ভোটার আইডি লিঙ্ক
Electoral Process: নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষকে নিয়ে আসার জন্য মোট চারটি বড় সংস্কার আনার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই চার সংস্কার করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভূমিকাকে আরও মজবুত করতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষকে নিয়ে আসার জন্য মোট চারটি বড় সংস্কার আনার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই চার সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কার পরবর্তী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা থাকবে।
আধার কার্ড – ভোটার আইডি লিঙ্ক
ঠিক আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার মতো এখন কোনও ব্যক্তি তাঁর আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার আইডিও লিঙ্ক করাতে পারবেন না। তবে এ ক্ষেত্রে প্যান-আধার লিঙ্কের মতো বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই কোনও। কেউ চাইলে লিঙ্ক করাতে পারেন, আবার যিনি ইচ্ছুক নন, তিনি ভোটার কার্ড আধার কার্ড লিঙ্ক না করালেও হবে। সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তার অধিকারের রায়ের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও মজবুত ভোটার তালিকা
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতে, তারা যে পাইলট প্রকল্পগুলি এতদিন চালিয়েছে, সেগুলি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং সফল হয়েছে। এই সংস্কার করা হলে, ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা কমবে এবং ভোটার তালিকাকে আরও মজবুত করা যাবে।
বছরে চার বার ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ
অন্য একটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য আরও চেষ্টার সুযোগ দেওয়া। পরের বছর ১ জানুয়ারি থেকে, ১৮ বছর বয়সি প্রথমবারের ভোটাররা চারটি ভিন্ন কাট-অফ তারিখের মধ্যে বছরে চার বার ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। তাঁরা এখন পর্যন্ত বছরে মাত্র একবার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন।
সার্ভিস অফিসারদের জন্য লিঙ্গ-নিরপেক্ষতা
এর পাশাপাশি সার্ভিস অফিসারদের জন্য লিঙ্গ-নিরপেক্ষ একটি আইন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সার্ভিস অফিসারের স্বামীকেও ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চলতি আইন অনুযায়ী, এই সুবিধা শুধুমাত্র একজন পুরুষ সার্ভিস অফিসারের স্ত্রীর জন্য উপলব্ধ ছিল। একজন মহিলা সার্ভিস ভোটারের স্বামীর জন্য এই সুবিধা এতদিন পর্যন্ত উপলব্ধ ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে নতুন সংস্কারে আরও শক্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কোনও জায়গা দখলে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে স্কুল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে এতদিন পর্যন্ত কিছু আপত্তি ছিল। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সরকার এই সব গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সংস্কার আনার পথে এগোচ্ছে।