Ghulam Nabi Azad: ‘বিভ্রান্তি তৈরি করতেই প্রচার’, টুইটারে ‘কংগ্রেস’ বিতর্কে ইতি টানলেন খোদ আজাদই
Ghulam Nabi Azad on Twitter Controversy: বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতার টুইটার প্রোফাইল ঘিরে জল্পনার তৈরি হতে, তিনি সমস্ত জল্পনার অবসান করে জানান, তাঁর প্রোফাইলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিভ্রান্তি তৈরি করতেই এইধরনের প্ররোচনামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: সংসদীয় রাজনীতিতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পদ্মভূষণ (Padma Bhushan) সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। তবে সম্মানের সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কও পিছু নিয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর পদ্ম সম্মান পাওয়ার কথা ঘোষণার পরই দেখা যায়, টুইটার থেকে কংগ্রেসের (Congress) নাম মুছে ফেলেছেন তিনি। এরপরই শুরু হয় কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা। তবে রাতেই সমস্ত জল্পনায় ইতি টানেন খোদ আজাদ। তিনি টুইট করে লেখেন, “বিভ্রান্তি তৈরি করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
কী থেকে জল্পনার শুরু?
মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফে চলতি বছরের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য রাজনৈতিক নেতা থেকে শিল্পপতি, একাধিক ব্যক্তিকে এই সম্মানে ভূষিত করা হবে প্রজাতন্ত্র দিবসে। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদেরও। সংসদীয় রাজনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। এদিকে, তাঁর এই সম্মান প্রাপ্তির পরই নতুন করে তাঁর কংগ্রেস ছাড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
গতকালই অনেকের চোখে পড়ে যে, গুলাম নবি আজাদের টুইটার প্রোফাইলে কংগ্রেসের নাম উল্লেখ নেই। এরপরই জল্পনা শুরু হয় যে, তবে কি তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে পাকাপাকিভাবেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন? এদিকে, মঙ্গলবারই উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের জন্য তারকা প্রচারকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেই তালিকায় সনিয়া, রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি গুলাম নবি আজাদেরও নাম রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতার টুইটার প্রোফাইল ঘিরে জল্পনার তৈরি হতে, তিনি সমস্ত জল্পনার অবসান করে জানান, তাঁর প্রোফাইলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিভ্রান্তি তৈরি করতেই এইধরনের প্ররোচনামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি টুইট করে লেখেন, “কিছু ব্যক্তি বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য় প্ররোচনামূলক প্রচার চালাচ্ছেন। আমার টুইটার প্রোফাইল থেকে কিছু বাদ বা সংযোজন করা হয়নি। আগে যা ছিল, এখনও একই রয়েছে।”
জি-২৩-র নেতা বলেই কি বিতর্ক?
কংগ্রেসের অন্দরে সবথেকে বড় সমস্যা তাদের সভাপতি নিয়েই। রাহুল গান্ধীর ইস্তফার পর থেকেই দলের তরফে কোনও স্থায়ী মুখ বেছে নেওয়া হয়নি, যিনি সভাপতি রূপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সনিয়া গান্ধীই আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরী নেতা গুলাম নবি আজাদের নেতৃত্বেই বিক্ষুব্ধ ২৩ জন কংগ্রেস নেতা দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে সাংগঠনিক পরিবর্তন ও স্থায়ী নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ শিবিরের নিশানা হয়ে যান।
বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও কী বিতর্কের কারণ?
রাজ্যসভা থেকে অবসর নেওয়ার সময় তাঁকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় নেতাকে বিদায়ী সম্ভাষণে গলার স্বর বার বার আটকে যাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীর। শুরু থেকেই চোখ ছলছল করছিল তাঁর। শেষে তিনি কেঁদেও ফেলেন। শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে এই সৌজন্যের সম্পর্ককেও অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি, সেই কারণেই এর আগেও তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল।