নয়া দিল্লি: দেশে দৈনিক করোনা (COVID) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৬৬৭। তা থেকে আরও ৫.৭ শতাংশ কমল গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। একই সময়ে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ হাজার ৮১৮ জন। স্রেফ ১ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১৮৩ জন। এই নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩ জন। যার মধ্যে করোনাকে পরাজিত করে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৯১ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৯৩ জন। এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫।
করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দুর্বিসহ সময় কাটিয়ে এ বার ক্রমেই ছন্দে ফেরার চেষ্টায় রাজধানী। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। তাই সোমবার থেকে নয়া দিল্লিতে একাধিক বিধিনিষেধ সঙ্গী করেই খুলছে জিম-যোগা সেন্টার, বিয়ের অনুষ্ঠান বাড়ি, হোটেল প্রভৃতি। যদিও ৫০ জনের বেশি অতিথি আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। জিম-যোগা ক্ষেত্রেও ৫০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে চালাতে হবে। তবে শপিং মল বা সিনেমা হল কবে খুলবে তা এখনও জানায়নি কেজরীবাল সরকার।
গত সপ্তাহ থেকেই নিষেধাজ্ঞায় একটু একটু করে ঢিলে দেওয়া শুরু করেছে রাজধানী। যদিও তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা যে কোনও সময় এসে পড়তে পারে, এমনটা ভেবে নিয়েই খুব বেশি ছাড় দেওয়া হচ্ছে না কোনও ক্ষেত্রেই। গত সপ্তাহেই পানশালা-রেস্তোরাঁ খোলার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। তার আগের সপ্তাহে সেলুন ও পার্লারগুলি খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছিল দিল্লি।
বিশ্বের যে সব সংস্থা করোনা টিকার ট্রায়ালে সাফল্য পেয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম জনসন অ্যান্ড জনসন। সূত্রের খবর, জুলাই মাসেই সেই টিকা ভারতে আসবে। খুব কম পরিমাণে পাওয়া যাবে সেই টিকা। প্রাথমিকভাবে কয়েক হাজার ডোজ টিকা আসবে ভারতে। এখানে টিকার একটি ডোজের দাম হবে ২৫ ডলার ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ১,৮৭৫ টাকা। এই ভ্যাকসিনের সুবিধা হল এটি ঠাণ্ডা জায়গায় সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। বিশেষত ভারতের মতো দেশের আবহাওয়ার জন্য এটি খুবই উপযোগী।
বিস্তারিত পড়ুন: জুলাইতেই সম্ভবত ভারতে মিলবে জনসনের টিকা, কত হবে দাম?
সামান্য বাড়ার পর স্বস্তি দিয়ে ফের কমতে শুরু করেছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। দৈনিক করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যাতেও ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শনিবার নতুন করে রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৪ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৩৩ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। গতকাল এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৫।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা আরও ১৩২ জন কমেছে। রাজ্যের বর্তমান সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২২ হাজার ৯৯ জন। রাজ্যে বর্তমান সুস্থতার হার ৯৭.৩৪ শতাংশ। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৫ হাজার ২৪৮ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটির হার কমে হয়েছে ৩.৪২ শতাংশ।
সবিস্তারে পড়ুন: দুই পরগনায় মৃত্যু বাড়ল আচমকাই, একটি জেলায় আক্রান্ত মাত্র ১, আরও কমল সংক্রমণ
দেশ করোনার (COVID 19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসেছে। এ বার চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আছড়ে পড়তে পারে করোনার থার্ড ওয়েভ। তাই পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে একাধিক রাজ্য। এখন চিন্তার স্ট্রেন দু’টি। প্রথমটি ডেল্টা (বি.১.৬১৭), দ্বিতীয়টি ডেল্টা প্লাস (বি.১.৬১৭.২)। দুই স্ট্রেন নিয়ে চিন্তিত দেশ তথা বিশ্ব। হু জানিয়েছে, ডেল্টা স্ট্রেনই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রামক স্ট্রেন। দেশে কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছে ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে। তাহলে যাঁরা টিকার একটি ডোজ় পেয়েছেন, তাঁরা কি আদৌ নিরাপদ?
বিস্তারিত পড়ুন: যাঁরা টিকার একটি ডোজ় পেয়েছেন, তাঁরা যথেষ্ট নিরাপদ নন: এইমস প্রধান
করোনা ভ্যাকসিন না নিলে মিলবে না বেতনও। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী (Anganwadi workers)-দের বেতন আটকে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি সরকারি আধিকারিকদের বলেন, “যে সকল অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা এখনও করোনা টিকা নেননি, তাদের যেন বেতন না দেওয়া হয়।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘বেতন আটকে দিন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের’, কড়া নির্দেশ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি সরকারের অক্সিজেনের দাবি (Oxygen Demand) নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের গঠিত টাস্ক ফোর্সের তরফে জানানো হয়, প্রয়োজনের তুলনায় চারগুণ বেশি অক্সিজেন দাবি জানিয়েছিল দিল্লি। অতিরিক্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করতে গিয়ে ১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। এ দিন সেই বিতর্কেই জল ঢালতে এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া (dr Randeep Guleria) বলেন, ” অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। সুতরাং চারগুণ বেশি অক্সিজেন চাওয়া হয়েছিল, তা এখনই বলা যায় না।”
বিস্তারিত পড়ুন: Delhi Oxygen Claim: চারগুণ বেশি অক্সিজেনের দাবি কি সত্যি? এইমস প্রধান বললেন…
টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া হলেই কো-উইন (Co-Win) পোর্টালে মিলছে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট। এ বার সেই সার্টিফিকেটে যদি সামান্য কিছু ভুল থেকে যায়। তাহলে এতদিন ঠিক করার উপায় ছিল না। এই ধরুন, নামের বানান ভুল কিংবা জন্ম তারিখে তথ্যগত ভুল, সেক্ষেত্রে কী করবেন? কো-উইন পোর্টালে এই নয়া পদ্ধতি নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বিস্তারিত পড়ুন: Vaccine Certificate Correction: ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে নাম-বয়স ভুল? জেনে নিন ঠিক করার উপায় |
একদিকে উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, অন্যদিকে রাজ্যে বসেছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টের থাবাও। শুক্রবার রাজ্যে প্রথম ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হতেই নড়েচড়ে বসল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) প্রশাসন। পাঁচ পর্যায়ের যে আনলক প্রক্রিয়া (Unlock Process) চালানো হচ্ছিল, তাতেও আনা হল পরিবর্তন।
বিস্তারিত পড়ুন: Maharashtra Unlock: ‘ডেল্টা প্লাসে’ বৃদ্ধার মৃত্যুতে রাতারাতি বদলাল নিয়ম, নয়া আনলকে খোলা থাকবে কী কী?
বারবার এই সমস্যার কথা তুলে ধরছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। টিকা পাচ্ছে না তুলনামূলক গরিব দেশগুলি। যার ফলে সেই দেশে করোনা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে ভাইরাসের মিউটেশনের সমস্যা। শুক্রবার ফের একবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায় উন্নত দেশগুলি কমবয়সীদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে, যাঁরা করোনা ঝুঁকির বাইরে তবু গরিব দেশগুলির হাতে ভ্যাকসিন তুলে দিচ্ছে না।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ’, গরিব দেশগুলিকে টিকা দেওয়ার কাতর আবেদন হু-র
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর তোড় কিছুটা কমেছে। তার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এনেছিল ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। অর্থাৎ বি.১.৬১৭ যাকে পরবর্তীকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নাম দেয় ডেল্টা। এ বার সেই ডেল্টা স্ট্রেনকেই বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেনের তকমা দিল হু (WHO)।
বিস্তারিত পড়ুন: ভারতে ছড়ানো ডেল্টাই বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন: হু