নয়া দিল্লি: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (COVID 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৭১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫৫ জন। এর আগের দিন দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৪ হাজার ১১১ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৭৩৮ জনের। গতকালের থেকে মৃত্যু বাড়লেও এ দিন ফের কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। দেশে এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার। ৯৭ দিন পর এই প্রথম যা ৫ লক্ষের নীচে নেমেছে। সুস্থতার হার এখন দেশে ৯৭.০৯ শতাংশ। গত ২৭ দিন ধরে ৫ শতাংশের নীচে দৈনিক পজিটিভিটি রেট। এ দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর হার ২.৩৪ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ রুখতে কোভিশিল্ড(Covishield) অনেকাংশেই সফল হলেও করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টার বিরুদ্ধে কি আদৌই কার্যকর সেরাম সংস্থার টিকা, তা জানতেই সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষণার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় নিয়েও ১৬.১ শতাংশের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Variant)-কে প্রশমন করার জন্য অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হয়নি।
বিস্তারিত পড়ুন: ডেল্টার সামনে ‘ফেল’ কোভিশিল্ডের ২ ডোজ়ও? চাঞ্চল্যকর তথ্য আইসিএমআরের গবেষণায়
আনলকের ষষ্ঠ ধাপে প্রবেশ করল দিল্লি (Delhi)। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার তলানি এসে পৌঁছনোয় এ বার স্টেডিয়াম(Stadium) ও ক্রীড়াঙ্গন(Sports Cpomplex)-গুলিও খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। তবে এখনও সিনেমাহল (Cinema Hall), মাল্টিপ্লেক্স (Multiplex) ও সুইমিং পুল (Swimming Pools) বন্ধই থাকবে।
বিস্তারিত পড়ুন: আনলকের ষষ্ঠ দফায় পা দিল রাজধানী, খুলছে ক্রীড়াঙ্গন, এখনও বন্ধ থাকছে কী কী?
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই দেশে করোনার (COVID 19) দ্বিতীয় ঢেউ ডেকে এনেছে বলে বিশ্বাস করেন চিকিৎসকদের একাংশ। ক্রমেই সারা বিশ্বে চিন্তার কারণ ডেল্টা প্লাস হয়ে উঠলেও ভারতে ডেল্টাই করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের। তার মধ্যেই করোনাজয়ীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে এইমসের গবেষণা। যেখানে গবেষকদের দাবি, যেসব করোনাজয়ীরা কোভিশিল্ডের এক বা দুই ডোজ় নিয়েছেন, তাঁরা ডেল্টা স্ট্রেনকে রুখে দিতে পারবেন।
বিস্তারিত পড়ুন: ভ্যাকসিনের ১ ডোজ়েই ডেল্টাকে কাহিল করবেন করোনাজয়ীরা: এইমস
একদিনে সর্বোচ্চ টিকা দেওয়ার রেকর্ড গড়ল মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। সে রাজ্যে একদিনে করোনা টিকা পেয়েছেন ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। যা মহারাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এখদিনে সর্বোচ্চ। শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “করোনা টিকাকরণে মহারাষ্ট্রের নতুন রেকর্ড। একদিনে ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ৯টার মধ্যে টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ১ হাজার ৮৪৭।”
বিস্তারিত পড়ুন: একদিনেই ৮ লক্ষ টিকাকরণ, রেকর্ড ঠাকরে রাজ্যে
এক কথায় আশার আলো। করোনার (COVID 19) একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ার ভয়ের মধ্যেই আলো দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা বলছে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ায় পৌঁছবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে ভয়াবহতা দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে কম হবে। সরকারি প্যানেলের সদস্য মনীন্দ্র আগরওয়াল গাণিতিক মডেলের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের অর্ধেক সংখ্যক মানুষ তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে অবশ্যই মেনে চলতে হবে করোনাবিধি। না হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেবে বলে পূর্বাভাস তাঁর।
বিস্তারিত পড়ুন: কবে আসবে তৃতীয় ঢেউ? কতটাই বা ভয়াবহ? পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের