Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কবে আসবে তৃতীয় ঢেউ? কতটাই বা ভয়াবহ? পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের

Corona Third Wave: 'সূত্র মডেল' বলছে রোগ প্রতিরোধ, ভ্যাকসিনেশনের প্রভাব ও করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করবে তৃতীয় ঢেউ।

কবে আসবে তৃতীয় ঢেউ? কতটাই বা ভয়াবহ? পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের
ছবি - পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jul 04, 2021 | 6:18 AM

নয়া দিল্লি: এক কথায় আশার আলো। করোনার (COVID 19) একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ার ভয়ের মধ্যেই আলো দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা বলছে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ায় পৌঁছবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে ভয়াবহতা দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে কম হবে। সরকারি প্যানেলের সদস্য মনীন্দ্র আগরওয়াল গাণিতিক মডেলের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের অর্ধেক সংখ্যক মানুষ তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে অবশ্যই মেনে চলতে হবে করোনাবিধি। না হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেবে বলে পূর্বাভাস তাঁর।

তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় মাথায় রেখেছেন মনীন্দ্র আগরওয়াল। তাঁর ‘সূত্র মডেল’ বলছে রোগ প্রতিরোধ, ভ্যাকসিনেশনের প্রভাব ও করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করবে তৃতীয় ঢেউ। এর আগেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন মনীন্দ্র আগরওয়াল। কিন্তু পূর্বাভাসের সঙ্গে মেলেনি দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি প্রকৃতি। সেক্ষেত্রে ‘ভিলেন’ হয়েছিল ডেল্টা স্ট্রেন। এ বারও অতি সংক্রামক ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। তাই স্ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।

মনীন্দ্র আগরওয়ালের গাণিতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়ে যাবে দ্বিতীয় ঢেউ। তারপর অক্টোবর ও নভেম্বরের মাঝখানে চরমে উঠবে তৃতীয় ঢেউ। ৭ মে দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ।

এই মডেলের সঙ্গে সংযুক্ত আরেক বিজ্ঞানী এম বিদ্যাসাগরের দাবি, তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে কম ভর্তি হতে হবে করোনা আক্রান্তদের। গবেষকরা ব্রিটেনের প্রসঙ্গ টেনে এনে ভ্যাকসিনেশনের গুরুত্বও বুঝিয়েছেন। তাঁদের মতে, জানুয়ারিতে যেখানে ব্রিটেনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ও দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ১২০০, সেখানে চতুর্থ ঢেউয়ে স্রেফ দৈনিক ২১ হাজার আক্রান্ত ও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ শক্তি কমেছে ঢেউয়ের। উল্লেখ্য, এই তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা অধিক করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই পেডিয়াট্রিক কেয়ারকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে একাধিক রাজ্যে।

আরও পড়ুন: কঙ্গনার পাসপোর্টের পুনর্নবীকরণ রুখতে হাইকোর্টে হাজির জাভেদ আখতার