CJI DY Chandrachud: তাঁর গণেশ পুজোয় মোদীর আসা নিয়ে বিতর্ক, ‘কী চুক্তি হল?’ জানালেন CJI
Chief Justice DY Chandrachud: মাসখানের আগেই, গণেশ পুজোর দিন তাঁর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যাওয়া নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। অবসরের আগে, সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর দাবি, এই ধরনের দেখাসাক্ষাতে কোনও বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না।
নয়া দিল্লি: ১০ নভেম্বর তিনি চলে যাবেন অবসর গ্রহে। মাসখানের আগেই, গণেশ পুজোর দিন তাঁর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যাওয়া নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। অবসরের আগে, সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর দাবি, এই ধরনের দেখা-সাক্ষাতে কোনও বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যেও নিয়মিত বৈঠক হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, “মানুষ ভাবে কেন এই বৈঠক। রাজনৈতিক শ্রেণির মধ্যেও বিচার বিভাগের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধা রয়েছে। এটা কারও অজানা নয়। এই সত্যই আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিপক্কতার চিহ্ন। বিচার বিভাগের বাজেট রাষ্ট্রের। এই বাজেট বিচারকদের জন্য নয়। আমাদের নতুন আদালত ভবন, জেলায় বিচারকদের জন্য নতুন বাসভবন প্রয়োজন হয়। তার জন্য প্রধান বিচারপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক জরুরি।”
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে ছিলেন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান। তারপর, মুখ্যমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বাড়িতে আসেন। এই বৈঠকগুলির নির্দিষ্ট এজেন্ডা থাকে। ধরুন, রাজ্যে ১০টি প্রকল্প চলছে, তার পরিকাঠামো কী, তার বাজেট কী? মুখ্যমন্ত্রী এই সব প্রকল্পের অগ্রাধিকারের কথা জানান। এর জন্য কী সশরীরে দেখা করা উচিত নয়? যদি চিঠি পাঠিয়ে এই সকল আলোচনা করতে হত, তাহলে কখনই কাজ শেষ হত না। রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সকলেই অনেক পরিপক্ক। এই সব বৈঠকের সময়, মুখ্যমন্ত্রী কখনও কোনও বিচারাধীন মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন না। ১৪ অগস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু করে কারও বিবাহ বা কারও শোকে, মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন। বিচার বিভাগের কাজের উপর কোন প্রভাব পড়ে না। লোকে জিজ্ঞাসা করে, কী চুক্তি হল? আসলে এটা একটি শক্তিশালী আলোচনার অংশ।”
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে গণেশ পূজায় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ছবি থেকে বড় রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের একাংশ বলেছে, এই ধরনের বৈঠকগুলি থেকে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) দলের রাজ্যসভার সাংসদ, সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, শিবসেনা (উদ্ধব) এবং শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-র মধ্যে দ্বন্দ্ব বিষয়ক মামলা থেকে প্রধান বিচারপতির নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেছিলেন, সংবিধানের রক্ষক যদি এই ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ, মনোজ ঝা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কিনা, তা অবশ্যই দেখতে হবে। প্রধান বিচারপতির বাড়ির গণেশ পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়া এবং সেই ছবি প্রকাশ্যে আনা অস্বস্তিকর বার্তাটি দেয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।