দিল্লি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ড: শ্মশান থেকে আধ পোড়া ছোট্ট পা দু’টো শুধু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে…
Delhi Rape Case: নাবালিকার মা জানান, শ্মশান লাগোয়া একটি ঠাণ্ডা পানীয় জলের জায়গা থেকে জল নিয়ে আসা মেয়ের রোজকার কাজের মধ্যে ছিল। ঘটনার দিনও সেখানেই গিয়েছিল।
নয়া দিল্লি: রাজধানীতে দলিত নাবালিকা গণধর্ষণকাণ্ডে এবার ঘটনাস্থলের সরেজমিন তদন্ত শুরু হল। বুধবারই দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ঘটনার তদন্ত ভার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্মশানে, যেখানে ন’ বছরের ওই নাবালিকাকে পোড়ানো হয়েছিল সেই স্থানের ফরেনসিক তদন্ত শুরু হল।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির পোড়া পায়ের অংশ বিশেষ পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু সামগ্রীও উদ্ধার করেছে অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা। পাশাপাশি স্থানীয় থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে এই কয়েকদিনে যা তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে, সে সবও অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
পুরনো দিল্লির একটি শ্মশানের কাছেই থাকত দলিত পরিবারটি। ন’ বছরের হাসিখুশি ওই নাবালিকা সকলের সঙ্গে খুব ভাব জমাতে পারত। নাবালিকার মা জানান, শ্মশান লাগোয়া একটি ঠাণ্ডা পানীয় জলের জায়গা থেকে জল নিয়ে আসা ছোট্ট মেয়ের রোজের কাজ ছিল। গত রবিবার সন্ধ্যায় একই কাজে মেয়েটি গেলেও অনেকক্ষণ না ফেরায় মায়ের সন্দেহ হয়। তার মধ্যেই বাড়িতে খবর আসে ওই নাবালিকা বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে।
গিয়ে দেখা যায়, নাবালিকার হাতে পোড়া দাগ আর ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েন মা। কেউ কেউ পুলিশে খবর দিতে বলেন। অভিযোগ, শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম তখন এক প্রকার জোর করেই দেহ সৎকার করানোর ব্যবস্থা করেন। মা জ্ঞান হারান। হুঁশ ফিরলে দেখতে পান তাঁর শিশু কন্যার দেহ চিতায় জ্বলছে।
খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। তার পর থেকে দফায় দফায় চলেছে বিক্ষোভ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। দেশের সব মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত পুরোহিত সহ-চারজন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার স্থানীয় চিত্র শিল্পী বলে জানা গিয়েছে। যাঁর স্ত্রী দাবি করেছেন, স্বামী ঘটনাস্থলে দেখতে গিয়েছিলেন এত জটলা কেন। পুলিশ জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। আরও পড়ুন: দেশের শেষ লাল দুর্গে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল! কেরলে তৃণমূলের ৫১ জনের কমিটি