আক্রান্তের হার মাত্র ০.০৯ শতাংশ, সপ্তম ধাপের আনলকে পা দিল রাজধানী, খোলা থাকছে কী কী?

Delhi Unlock Process: শনিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। বর্তমানে রাজ্যেে সংক্রমণের হার ০.০৯ শতাংশ।

আক্রান্তের হার মাত্র ০.০৯ শতাংশ, সপ্তম ধাপের আনলকে পা দিল রাজধানী, খোলা থাকছে কী কী?
কোভিডবিধি ভঙ্গ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গফর মার্কেট। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2021 | 12:08 PM

নয়া দিল্লি: আরও একধাপ আনলক(Unlock)-র পথে হাঁটল রাজধানী। রবিবার দিল্লি সরকারের (Delhi Government) তরফে ঘোষণা করা হল যে, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে জমায়েত বা মিটিং করা যাবে। স্কুল-কলেজে এই মিটিংগুলি হলেও আপাতত পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া নিষেধাজ্ঞাই জারি থাকল।

এ দিন কেজরীবাল সরকারের প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়, “অনলাইন ক্লাস বা অন্যান্য অন্যান্য কাজের জন্য কেবল শিক্ষক ও অধ্যাপকদেরই স্কুল ও কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের পঠনপাঠন এখনও অনলাইন মাধ্যমেই চলবে”। একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে দিল্লি পুলিশ ও সেনা জওয়ানদের ক্ষেত্রেও। কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য এ বার থেকে তাদের দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না। তবে স্কুল-কলেজের অডিটোরিয়াম ও অ্যাসেম্বলি হলে ৫০ শতাংশ আসনসংখ্যার লোকজনই উপস্থিত থাকতে পারবে। এর বেশি জমায়েত করা যাবে না।

আনলকের সপ্তম পর্যায়েও বন্ধ থাকবে স্পা (Spa)। এছাড়াও সমস্ত রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। দিল্লি মেট্রো ও গণপরিবহনগুলিও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। গত সপ্তাহেই স্টেডিয়াম ও ক্রীড়াঙ্গনগুলিও খুলে দেওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। যদিও সেখানে কোনও দর্শক উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: কান্দাহারও দখল নিচ্ছে তালিবানরা, তড়িঘড়ি দেশে ফেরানো হল ৫০ কূটনীতিবিদ-কর্মীদের

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই গত ১৯ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। ৩০ মে অবধি চলে সেই লকডাউন। এরপর সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নীচে নামতেই ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। শনিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। বর্তমানে রাজ্যেে সংক্রমণের হার ০.০৯ শতাংশ।

আনলক চললেও করোনাবিধি ভঙ্গের অপরাধে দিল্লির একাধিক বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির গফর মার্কেটও আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে নিয়মভঙ্গের অপরাধে।