Farmers Protest: কেন্দ্রের প্রস্তাব মানল না কৃষকরা, বুধবার থেকে ফের ‘দিল্লি চলো’
Farmers Protest: সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষ থেকে পুরানো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শুধুমাত্র তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা এবং তুলা কেনার নিশ্চয়তা দিতে চাওয়া হয়েছিল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই ব্যবস্থা চালু রাখতে রাজি ছিল সরকার। কিন্তু, কৃষকরা সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, ২৩টি ফসলের উপরই এমএসপি চাই তাদের।
নয়া দিল্লি: ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি (MSP) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল প্রতিবাদী কৃষকরা। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত এলাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষকরা জানান, সরকারের দেওয়া প্রস্তাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। কৃষকরা বলেছেন, “সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে আমরা তা খারিজ করেছি। এতে কৃষকদের কোনও লাভ হবে না। কৃষকদের উপর লুটপাট চলতেই থাকবে। সরকারের উদ্দেশ্য ঠিক নয়। কৃষকদের প্রতিবাদ করতে না দিলে, তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি।” ফলে, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে দিল্লির সীমান্ত এলাকাগুলিতে, ফের কৃষকদের বিক্ষোভ দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষ থেকে পুরানো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শুধুমাত্র তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা এবং তুলা কেনার নিশ্চয়তা দিতে চাওয়া হয়েছিল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই ব্যবস্থা চালু রাখতে রাজি ছিল সরকার। কিন্তু, কৃষকরা সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, ২৩টি ফসলের উপরই এমএসপি চাই তাদের। শম্ভু সীমান্তে কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ডে জানা, সরকারের প্রস্তাব তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি। প্রতিবাদী কৃষকরা বুধবার থেকে ফের শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে তাদের পদযাত্রা শুরু করবে। তিনি জানান, কৃষকদের পক্ষ থেকে সরকারকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। ২১ তারিখ তারা দিল্লি যাবেন। তবে, সীমান্ত এলাকায় দিল্লি পুলিশ যে ব্যারিকেড তৈরি করেছে, তা ভাঙার কোনও পরিকল্পনা নেই কৃষকদের।
রবিবার কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে চতুর্থ দফা আলোচনা হয়। বৈঠকে, কেন্দ্র ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ডাল, ভুট্টা এবং তুলা কেনার বিষয়ে পাঁচ একটি পরিকল্পনা পেশ করেছিল। বৈঠকের পর কৃষকরা জানিয়েছিলেন, তারা সরকারের প্রস্তাবটি ভেবে দেখার জন্য ২ দিন সময় নিচ্ছেন। এই দুই দিন ‘দিল্লি চলো’ অভিযান বন্ধ থাকবে। এদিন, সংযুক্ত কৃষক মোর্চা (অ-রাজনৈতিক)-এর নেতা, জগজিৎ সিং ডালেওয়াল বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পাম তেল আমদানি করার জন্য ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে। এই অর্থ কৃষকদের উৎপাদিত তৈলবীজের জন্য বরাদ্দ করা হলে, তাঁদের অনেক উপকার হবে। এই কৃষক নেতা আরও জানিয়েছেন, আপাতত সরকারের সঙ্গে আর কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা নেই তাঁদের। তবে আলোচনা করার জন্য তাঁরা সব সময় প্রস্তুত।